নয়াদিল্লি: ভারতে আরও বাড়ল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, দেশে এই ভাইরাসে নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে এর মধ্যে ১৬ জন ইতালীয় নাগরিক এবং ১৩ জন ভারতীয়। প্রথম তিনটি ঘটনা কেরলের। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আবার, দিল্লিতে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তাঁর থেকে আগরায় তাঁর ৬ আত্মীয়ের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। সকলকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।


এদিকে, ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনায় নড়েচড়ে বসল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)। ভারত সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশকে এই সংক্রমণ মোকাবিলার প্রস্তুতি আরও জোরদার করতে পরামর্শ দিয়েছে তারা।


হু-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে ৫টিতে 'কোভিড-১৯' আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিশ্চিত রিপোর্ট এসেছে। এই তালিকায় রয়েছে তাইল্যান্ড(৪৩), ভারত(২৯), ইন্দোনেশিয়া(২) এবং শ্রীলঙ্কা ও নেপাল -- উভয় দেশে একজন করে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।





হু-এর আঞ্চলিক অধিকর্তা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) ডা: পুণম ক্ষেত্রপাল সিংহ বলেন, এই দেশগুলির সবচেয়ে প্রাধান্য দেওয়া উচিত প্রথম ঘটনা সামনে আসলেই তাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। আগে পদক্ষেপ নিলে আগে এই সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। তাঁর মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে এই মারণ ভাইরাস শক্তিবৃদ্ধি করতে সক্ষম। ফলে, আরও বৃহদাকারে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। কোনও ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁকে আগে চিহ্নিত করা এবং তাঁকে পৃথক করে রাখা (আইসোলেশন) এবং তাঁর নিকট পরিজনদের সতর্কতামূলক পরীক্ষা করে ব্যক্তি-থেকে ব্যক্তি সংক্রমণ রোধ করা উচিত।


হু-এর পরামর্শ, ভারত সহ এই দেশগুলির প্রাধান্য় হওয়া উচিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষিত রাখা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সঠিক তথ্য় তুলে ধরার পাশাপাশি সকলের সুরক্ষিত নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, যাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, তাদের ওপর যে বেশি সম্ভব নজর দেওয়া।


হু জানিয়েছে, যে সকল দেশে পরীক্ষা করার সুযোগ নেই, সেখান থেকে নমুনা অন্যত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করতে রাজি তারা। বর্তমানে, তাইল্যান্ডে দুটি এবং ভারতে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে প্রায় ৩ লক্ষ সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে হু। সএর মধ্যে রয়েছে ক্য়াপ, সার্জিকাল গ্লাভস, গগলস্, গাউন ইত্যাদি। আরও ২ লক্ষ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।