কলকাতা: করোনার থাবা রাজ্যের চট শিল্পেও। কাঁচা মালের যোগানে ঘাটতি জনতি পরিস্থিতিতে কিছু ইউনিট বন্ধ করে দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন চলকল মালিকরা। এরমধ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা তাঁদের উদ্বেগ আরও বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে একটি শিল্প সংগঠন।


বজবজ জুটমিল ইতিমধ্যেই সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঘোষণা করেছে। কাঁচামালের যোগানে টানের কারণ জনিত সমস্যার কারণেই এই নোটিশ  কর্তৃপক্ষ দিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।


ইন্ডিয়ান জুট মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাঘব গুপ্তা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, সামগ্রিকভাবে ৫-৭ লক্ষ বেল পাটের ঘাটতি রয়েছে এবং দাম প্রতি কুইন্টালে আট হাজার টাকার বেশি। এই পরিস্থিতিতে ভোট-পরবর্তী সময়ে উৎপাদনে ছাঁটাই ও বিভিন্ন মিল ঝাঁপ পড়ার আশঙ্কা ভালোমতোই রয়েছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্প সংগঠনের এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেছেন, কাঁচামালের দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। এই দামের সঙ্গে সাজুয্য রেখে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অক্ষমতা ও সেইসঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আচমকা বৃদ্ধি সমগ্র পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। ফলে রাজ্যে ৬০ টি জুটমিলের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।


তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। কাঁচা মাল যোগানের বন্দোবস্ত করতে সরকার কড়া পদক্ষেপ না নিলে বহু ইউনিটেই ক্লোজার নোটিশ ঝুলতে পারে।


জুট কমিশনার মলয় চট্টোপাধ্যায়ল জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক মিলগুলির পাটের মজুত একটা পর্যায় পর্যন্ত রেশনালাইজড করেছে, যা এক মাসের গড় ব্যবহারের সমতুল। সেইসঙ্গে কাঁচামালের যোগানে কতটা ঘাটতি রয়েছে, তা জানতে সমীক্ষাও চালানো হয়েছে।


আইজেএমএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়া বলেছেন, কঠোর বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে কোভিড-১৯ সংকট জুল মিলগুলির কাজ ব্যাহত করতে পারে।  জুটমিলগুলি বেশিরভাগই জনবহুল এলাকায়।  করোনা সংক্রান্ত যথাযথ বিধিব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর কাজ খুবই কঠিন।


আইজেএমএ-র বর্তমান চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন, গত বছর অতিমারীর কারণে চট শিল্পে উৎপাদন তিন মাস বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এবার দ্রুত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।