নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। আর তা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। এবার করোনা আক্রান্ত দিল্লি পুলিশের দেড় হাজার আধিকারিক। বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় কার্যত ঘুম উড়েছে প্রশাসনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফের রেকর্ড সংক্রমণ দিল্লিতে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ১৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩০৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৬০৯ জন। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৪৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৩৭ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ১৯৩ জন। অ্যাক্টিভ কেস ৯১ হাজার ৬১৮।
এদিকে সরকারি হাসপাতালেই সিলিন্ডারের অভাব প্রকট হচ্ছে। দিল্লির রাজীব গাঁধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেই মাত্র ২.৫ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৫-৬ টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। বর্তমানে সেখানে ৯০০ রোগী রয়েছেন। একই পরিস্থিতি দিল্লির অন্যান্য হাসপাতালের।
করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের। রাজ্যে করোনা রুখতে সম্প্রতি সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিসোদিয়া। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। যেখানে দ্রুত হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করার কথা বলছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, এক আধিকারিককে সিসোদিয়া বলছেন, ''জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করে বেডের অনুমিত চান। এবার কেউ কিছু বললে সেই অনুমতিপত্র তাঁকে দেখান। এখন যা পরিস্থিতি তাতে সব দফতরের নিয়ম মেনে কাজ করতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে। আমাদের এখন একদিনের মধ্যে সব কাজ করতে হবে।''
এদিকে অক্সিজেন নিয়ে দিল্লি বনাম কেন্দ্রীয় সরকারের লড়াই দিল্লি হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেখানে রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে উত্তর দিয়েছে কেন্দ্র। হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি বলেছেন, ''দিল্লির অক্সিজেন সঙ্কটকে 'সেনসেশনালাইজ' করার সময় এটা নয়। দিল্লি সরকার যেসব হাসাপাতালে অক্সিজেনের অভাব তৈরি হয়েছে তার তালিকা দিক। আমরা বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। আমরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। যদি কেবল রিপোর্টিংয়ের জন্য দিল্লি এই ধরনের কাজ করতে চায়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।''