চণ্ডীগড় : রাজ্যে কোভিড গ্রাফ নিয়ন্ত্রণে ফের কড়া নির্দেশিকা জারি করল পঞ্জাব সরকার। এবার থেকে রাজ্যে প্রবেশ করতে চাই নেগেটিভ কোভিড রিপোর্ট। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান বাদে বন্ধ থাকবে বাকি সব। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত জারি থাকবে এই নির্দেশিকা।


রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। একাধিক বিধিনিষেধ সেভাবে কাজে আসেনি। তাই ১৫ মে  পর্যন্ত ফের কোভিড রুখতে কড়া মনোভাব নিল সরকার। নতুন নির্দেশিকায়, দু'জনের বেশি প্রাইভেট কারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে সব জেলাশাসক ও ডেপুটি কমিশনারের কাছে নতুন নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি ট্রেন, বাস, বিমানে বাইরে থেকে এলে কোভিড রিপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিলেই মিলবে রাজ্যে ঢোকার ছাড়পত্র।


পঞ্জাবে প্রবেশে নেগেটিভ কোভিড রিপোর্ট না থাকলে টিকা নেওয়া থাকতে হবে যাত্রীর। কমপক্ষে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া থাকতে হবে বহিরাগতের। প্রাইভেট ট্যাক্সি ও চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে দুজনের বেশি দেখলেই আটকাবে পুলিশ। তবে হাসপাতালের গাড়ি বা রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাগু হবে না এই নিয়ম। সেক্ষেত্রে দুইয়ের বেশি যাত্রী থাকতে পারেন চারচাকায়।  


স্কুটার বা বাইকের ক্ষেত্রেও রয়েছে একই নিষেধাজ্ঞা। এই ক্ষেত্রে পরিবারের বাইরে কাউকে পিছনের সিটে বসানো যাবে না। অথবা একই বাড়ির কেউ বসতে পারবেন পিছনের আসনে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে দুধ, ডিম, পাউরুটি, ফল, শাকসব্জি ও ওষুধের দোকানকে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। ১০ জনের বেশি জমায়েতে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।


ধর্মীয় স্থানগুলি সন্ধ্যে ৬টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। কোনওভাবেই যেন সেখানে ভিড় না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। রাস্তার সব্জি বা ফল বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।