কলকাতা: আয়ুষ মন্ত্রকের দ্বারা গঠিত একটি পর্যালোচনা কমিটির পরামর্শ অনুসারে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির তৈরি 'করোনিল'কে করোনা চিকিৎসায় সহায়ক ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল উত্তরাখণ্ডের রাজ্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই জানান হয়েছে। কোভিড নিরাময় করবে, সে দাবি সরিয়ে রেখেই এই অনুমোদন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন পাওয়ার একটি লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আয়ুশ মন্ত্রকের প্রযুক্তিগত পর্যালোচনা কমিটি পতঞ্জলি গবেষণা ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের এই ওষুধটিকে 'ইমিউনিটি বুস্টার' থেকে 'করোনার সহায়ক ওষুধ' হিসেবে উল্লেখ করেছে। সেই মতোই লাইসেন্স আপডেট করা হয়েছে। কমিটির তরফে প্রস্তাব করা হয় যে এই ট্যাবলেট কোভিড রোগে সহায়ক পদক্ষেপ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এও জানান, আইটিআরসি রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছিল এবং প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে এটি কোভিডে সহায়ক ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে রোগ নিরাময়ক হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বেশ কিছু আইনের অধীনে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ড্রাগস এবং কসমেটিকস আইন- এর অধীনে আয়ুর্বেদিক, সিদ্ধ, ইউনানী ও হোমিওপ্যাথির ওষুধের লাইসেন্স প্রদান ও অনুমোদনের কাজটি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই ওষুধের সায়েন্টিক রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও এখনও করোনিলকে অনুমদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁরা এই ওষুধ রিভিউও করেনি। যদিও এর আগেই হু এর স্কিম অনুযায়ী সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ও আয়ুশ বিভাগ থেকে CoPP সার্টিফিকেট পেয়েছে করোনিল।
রামদেবের সংস্থার দাবি ছিল পতঞ্জলির তৈরি ‘করোনিল’ ট্যাবলেট নাকি ৭ দিনেই করোনা সংক্রমণ সারিয়ে দেবে।রামদেবের দাবি ছিল, রোনাকে এবং এর জটিলতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এই ওষুধ। ৯৫ জন রোগীর উপর ক্লিনিকাল, নিয়ন্ত্রিত গবেষণা করার পর তিন দিনের মধ্যে ৬৯ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে, এবং পজিটিভ (কেস) থেকে নেগেটিভ হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। যদিও এই দাবিকে মান্যতা দেয়নি আয়ুশ মন্ত্রকও।