নয়া দিল্লি : করোনার বিরুদ্ধে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশজুড়ে ২৫ হাজার ৮০০ জনের উপর এই ট্রায়াল চালানো হয়।


এই নথি খতিয়ে দেখে আজ অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে DCGI-এর সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। যদিও এই তথ্য এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। চলতি মাসেই প্রথম দিকে ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, রেগুলেটরের কাছে জমা করার পর নথি প্রকাশ করা হবে।


এর আগে মার্চ মাসে তৃতীয় পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণে কোভ্যাকসিনের ৮১ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী করোনায় সংক্রমিত হলে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা একদমই নেই বলে প্রাথমিক তথ্যের বিশ্লেষণে জানা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, তৃতীয় পর্যায়ের অনুমোদন ভারত বায়োটেককে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার EUL(এমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিং) পেতে সাহায্য করবে।


সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে খবর, চূড়ান্ত নথি জমা করার গাইডলাইন নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ভারত বায়োটেক কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রয়োজনীয় নথির ৯০ শতাংশ ইতিমধ্য়েই কোম্পানির তরফে জমা করা হয়েছে। গত মাসেই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তারা সামনের সেপ্টেম্বরের মধ্যে WHO-এর অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করছে।  


প্রসঙ্গত, কোভ্যাকসিন যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার EUL(এমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিং) পেয়ে যায় সেক্ষেত্রে সংস্থা এই ভ্যাকসিন রফতানি করতে পারবে। সহজেই সেই সব ভারতীয়র জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে ভ্যাকিসন পাঠাতে পারবে যাঁরা এই টিকা নিয়েছেন। 


ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে থাকার মধ্যেই গত বছর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছিল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। উল্লেখ্য, সরকারের নতুন করে টিকাকরণ উদ্যোগের প্রথম দিন ছিল গতকাল। তাতে ৮৮.০৯ লক্ষ ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন চ্যালেঞ্জ, আগামী কয়েক মাস ধরে এই হারে টিকাকরণ ধরে রাখা। এদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় ভ্যাকসিন পাঠানোটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।