নয়া দিল্লি : চলতি বছরের শেষ দিকে দেশের সব প্রাপ্ত-বয়স্ককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য কেন্দ্রের। সেই লক্ষ্য পূরণে নয়া পদক্ষেপ। এবার হোয়াটসঅ্যাপে ভ্যাকসিন স্লট বুকিংয়ের সুযোগ করে দিল সরকার। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ট্যুইট করেন, নাগরিকদের সুবিধার্থে নতুন যুগের সূচনা। এবার থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার নিজের ফোন থেকে সহজেই ভ্যাকসিন স্লট বুক করে ফেলুন। 


এর পরে একটি লিঙ্ক শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, হোয়াটসঅ্যাপে MyGovIndia Corona Helpdesk-এ 'Book Slot' পাঠান। ওটিপি ভেরিফাই করে নিন। এই স্টেপগুলি অনুসরণ করুন। তা করলে এই সংক্রান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সব তথ্য কোউইন থেকে পেয়ে যাবেন।  


আরও একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল, চলতি মাসেই সরকার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটির মধ্যেই দেশে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে যাতায়াতের জন্য অনেক সময় সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ছে।  


প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি রয়েছে। অক্টোবরেই পৌঁছতে পারে শিখরে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে সতর্ক করে এই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। এই পরিস্থতিতে করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণ অতি জরুরি, একথা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু, এই আশঙ্কার মধ্যেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্য়মে খবর, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১৬ সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও করোনা ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ পাননি কমপক্ষে ১.৬ কোটি ভারতীয়।


গত ১৩ মে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। দুই ডোজের সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হয়েছিল। কিন্তু, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার মেয়াদ রয়েছে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বা সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া বাকি রয়েছে ৩.৯ কোটি মানুষের। ২ মে-র মধ্য়ে করোনার প্রথম টিকা নেওয়া ১২.৮ কোটি মানুষের মধ্যে, ১১.২ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।