নয়াদিল্লি: করোনা টিকা তৈরির দৌড়ে সামনের সারিতে থাকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ওষুধ সংস্থা ঘোষণা করল, তারা তাদের টিকার উপকারিতা বুঝতে ফের গ্লোবাল ট্রায়াল শুরু করবে। তারা স্বীকার করে নিয়েছে, আগেরবার পরীক্ষার সময় তাদের ডোজে গন্ডগোল হয়, ফলে অনেক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পিফাইজার ও মডার্নার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকাও ব্রিটেন ও ব্রাজিলে তাদের এজেডডি১২২২ টিকা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অর্ধেক ডোজ দেওয়ায় টিকাটি ৯০ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুইভাগে পুরো ডোজ দিলে সাফল্যের হার ৬২ শতাংশ। দুই সাফল্য যুক্ত করলে সাফল্যের গড় হচ্ছে ৭০ শতাংশ।

পরে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, প্রথমে অর্ধেক ডোজ ও পরে পুরো ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল তাদের। বুধবার তাদের সহযোগী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, পরীক্ষায় ব্যবহৃত কয়েকটি ভায়ালে টিকার ডোজ ঠিকমত ছিল না। ফলে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী ঠিক ডোজ পাননি। বিষয়টি নিয়ে রেগুলেটরদের সঙ্গে তারা আলোচনা করেছে, ঠিক হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের আরও দুটি দলের সঙ্গে শেষ পর্যায়ের এই পরীক্ষা হবে। টিকার ডোজে যে গন্ডগোল ছিল, তাও শুধরে নেওয়া হয়েছে।

কোম্পানি ঠিক করেছে, নতুন করে ফের পরীক্ষা শুরু করবে তারা। দেখা হবে, নতুন স্বেচ্ছাসেবকদের কারও বয়স যেন ৫৫ বছরের বেশি না হয়। তুলনামূলক অল্পবয়সীদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় তাঁদের ওপর এই টিকা কেমন কাজ করে দেখা হবে।

ভারতের এই টিকার পরীক্ষা করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। তারা দাবি করেছে, টিকাটি পুরোপুরি কার্যকরী ও নিরাপদ, সব নিয়মকানুন মেনেই এ দেশে পরীক্ষা চলছে।