নয়াদিল্লি: শারীরিক সমস্যা থাকলে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করল ভারত বায়োটেক। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা একাধিক রোগের জন্য ওষুধ খেতে হয় তাদের কোভ্যাক্সিন নিতে নিষেধ করল ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। এই নিয়ে তথ্য পত্র প্রকাশ করেছে তারা।

ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং একাধিক ওষুধ খেতে হয় তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, গলা বা মুখ ফুলে যাওয়া,র‌্যাশ, ঝিমুনি ও দুর্বলতাও রয়েছে।

অ্যালার্জির সমস্যা ছিল বা আছে, অন্তঃস্বত্বা মহিলাদেরও করোনা টিকা না নেওয়াই উচিত বলে জানিয়েছে তারা। যাঁদের শরীরে রক্তপাত জনিত সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও ভ্যাকসিন না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

গত শনিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। আর তা শুরু হওয়ার পর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আর এরপরই আসরে নামল ভারত বায়োটেক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাই সোমবার তথ্য পত্র প্রকাশ করল ভারত বায়োটেক।

তথ্য পত্রে তারা লিখেছে, ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে শারীরিক সমস্যার কথা জানান ভ্যাকসিনেশন অফিসারকে। কোনও ওষুধ খেলে তাও জানান। দীর্ঘদিন কোনও রোগাক্রান্ত হলে তাও ভ্যাকসিনেশন অফিসারকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তথ্যপত্রে ভারত বায়োটেক আরও জানিয়েছে, টিকাকরণের দ্বিতীয় ডোজের ৩ মাস পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর কোনও শারীরিক সমস্যা হলে সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত কোনও হাসপাতাল বা সেন্টারে ভর্তি হতে হবে। গুরুতর কিছু ঘটলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারী মোকাবিলায় ভারতে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। যে তালিকায় আছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন।

গত শনিবার থেকে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্যে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর সামনে এসেছে। তাই এবার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আসরে নামল ভারত বায়োটেক।