নিউ দিল্লি : করোনা অতিমারিতে আর্থিকভাবে বিধ্বস্ত একটা বড় অংশের মানুষ। বিশেষ করে মজুর ও পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাজ্যগুলিতে এনিয়ে উপদেশাবলী পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত এপ্রিল থেকে ভয়ঙ্কর অবস্থা দেশে। এর মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন শুরু হয়। NHRC এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রেখে কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আরও তিনটি উপদেশাবলী পাঠানো হয়েছে। এটি ২.০ সিরিজ অফ কোভিড-১৯ প্যানডেমিক অ্যাডভাইসরিজ-এর অংশ।


এই উপদেশাবলীর মধ্যে রয়েছে- মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকার, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের শনাক্তকরণ ও তাঁদের পুনর্বাসন এবং অতিমারিতে অসংগঠিত শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত করা।


NHRC-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল বিম্বধর প্রধানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, শ্রম ও বেকারত্ব এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের সচিব এবংং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে কমিশন নিজেদের সুপারিশগুলির প্রয়োগ এবং চার সপ্তাহের মধ্যে তার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে।


পরিযায়ী শ্রমিক সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। বলা হয়েছে, লকডাউনের কারণে শহর এলাকায় কাজের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, পরিযায়ী সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। শুধু তাই নয়, গত এক বছর ধরে করোনার প্রথম ঢেউয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের নিজের এলাকায় ফিরে যাওয়া এবং কৃষিক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটার জেরে গ্রামীয় অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ। এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় কৃষিকাজে যুক্তদের জীবন-যাত্রাও প্রভাবিত হয়েছে।


কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাজ হারানো, মজুরি কমা, অর্থনৈতিক ও উৎপাদন ক্ষেত্রে সঙ্কোচন- এইসব উদাহরণ গভীর অর্থনৈতিক সংকটের দিক নির্দেশ করছে। 'State of Working India 2021: One year of COVID-19' (2021) নামাঙ্কিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ২৩ কোটি ভারতীয় দারিদ্রের মুখে পড়েছে। এগুলি মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের পরিবার।