মাচানতলা: বাঁকুড়া শহরে যত্রতত্র পড়ে কোভিড টেস্টিং কিট। টিকাকরণ কেন্দ্রেও জমছে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীর। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুর প্রশাসন।


মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সংক্রমণ কমছে। এটা বাংলার জন্য ভাল খবর। সেকেন্ড ওয়েভে মৃত্যু হার কমে এসেছে। কার্যত লকডাউনে রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার কমছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যেই সামনে এল প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ। 


শনিবার বাঁকুড়া সদরের মাচানতলা এলাকায় রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যায় কোভিড টেস্টিং কিট। টিকাকরণ কেন্দ্রেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই। প্রতিবাদে টিকাকরণ কেন্দ্রে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন বাঁকুড়া সদরের এডওয়ার্ড হলে কোভিড পরীক্ষার কাজ চলছিল। পরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ করে শুরু হয় টিকাকরণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় যত্রতত্র কোভিড টেস্টিং কিট ফেলে দেওয়া হচ্ছে। টিকাকরণ কেন্দ্রের পাঁচিলের পাশে জমছে পিপিই। এই নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। 


এক বিক্ষোভকারী জানাচ্ছেন, পিপিই কিটগুলো উড়ে গিয়ে হল সংলগ্ন বস্তিতে চলে যেতে পারে। আমাদের বারণ সত্ত্বেও কেউ কথা শুনছে না। আমাদের বাড়িতে ছোটো ছোটো বাচ্চা আছে তাই খুব ভয়ে আছি। অন্যজনের দাবি, আমাদের বসতি বাড়ি রয়েছে। তার পাশেই পড়ে আছে পিপিই কিট। পুরসভাকে এ বিষয়ে বললে তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তার দায়িত্ব কে নেবে।
 
এনিয়ে মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, পুরসভার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুরসভাও। বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ভোটের সময় ওখানে কিছু কোভিড পরীক্ষা হয়েছিল। সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। আরও কিছু থাকলে সেটা পরিষ্কার করা হবে। অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে। এদিন বিক্ষোভের জেরে অবশ্য  টিকাকরণের কাজ ব্যাহত হয়নি। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।