নিউ দিল্লি: করোনাভাইরাসের দাপটে দেশে মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক। প্রাবল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়কালে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা চিন্তা বৃদ্ধি করেছে। কোভিডকালে বিদেশের মাটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৫৭০ জন প্রবাসী ভারতীয়। এর মধ্যে সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সৌদি আরবে করোনার কোপে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৫৪ জন ভারতীয়ের। বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরনের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ৮৯৪ জন, কুয়েতে ৫৪৬ জন, ওমানে ৮৪ জন, বাহরিনে ১৯৬ এবং কাতারে ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে । প্রায় ৭০টি দেশের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রবাসী ভারতীয়দের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মুরলিধরনের কথায়, "কোভিড-১৯ এর প্রকোপে যারা বিদেশে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। বিদেশে আমরা সেই সকল পরিবারের সঙ্গে যোগাওগ রেখে গিয়েছিলাম। যাতে দেহ আনার ক্ষেত্রে বা সেদেশে সৎকার করা যায়। সবরকম সহয়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
এমনকী মরদেহ নিয়ে আসার জন্য কিংবা স্থানীয়ভাবে সৎকারের জন্য ভারতীয় সম্প্রদায় কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এও বলেন, ৩০ এপ্রিল অবধি 'বন্দে ভারত মিশনের' অধীনে ৬০ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬৪ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এমনকী বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও ভারতীয় কূটনীতিকরাও বিদেশে আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৩ জনের। দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের নামল পাঁচশোর নীচে। সেইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণও কমেছে।
তাঁদেরও সব রকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানান হয়। মুরলিধরণ বলেন, "কূটনৈতিকদের তাৎক্ষণিকভাবে সমস্ত চিকিৎসা ও সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। যা তাদের কূটনীতিক এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য এই ধরনের সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছিল। এই সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি, টেলিমেডিসিন পরামর্শ, ওষুধ, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত ছিল।"