নয়াদিল্লি: শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যখন বঙ্গ-রাজনীতি তোলপাড়, তখন প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য, গুজরাতের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে 'নিট ইউজি' (NEET UG Scam In Gujarat) পরীক্ষার্থীদের ১০ লক্ষ টাকার বদলে সাহায্য়ের অভিযোগ উঠল। নির্দেশ ছিল যে প্রশ্নের উত্তর অজানা, সেই জায়গাগুলি খালি রাখতে হবে। পরে তা 'ভর্তি করে দেওয়া হবে।' অবশ্যই মুফতে নয়। 'নিট-ইউজি' পরীক্ষা বলে কথা। ছ'জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের থেকে এই বাবদে ১০ লক্ষ টাকা করে চাওয়ার অভিযোগ উঠল পদার্থবিদ্যার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গুজরাতের গোধরার একটি স্কুল, যেখানে  'নিট-ইউজি' পরীক্ষার সেন্টার পড়েছিল, সেখানকার ঘটনা। ওই সেন্টারেরই ডেপুটি সুপার অফ এগজ্যাম তথা পদার্থবিদ্যার শিক্ষক, তুষার ভট্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ। গোটা চক্রে, পরশুরাম রয় এবং আরিফ ভোরা নামে আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।


বিশদ...
পরীক্ষাকেন্দ্রে যে এরকম কোনও চক্র চলছে, সে ব্যাপারে গোপন সূত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছিলেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। এর পরই অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ, ওই অভিযানে, তুষার ভট্টের গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, এক পরীক্ষার্থীকে মেধাতালিকায় জায়গা করে দিতে অগ্রিম বাবদ টাকাটি ভট্টকে দিয়েছিলেন আরিফ ভোরা। এই নিয়ে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে বলা হয়, অভিযুক্ত এবং কয়েকজন নিট-ইউজি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় এই অনিয়মের ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই পরীক্ষার্থীদের বলা হয়, যে সব প্রশ্নের উত্তর তাঁরা জানবেন না, সেগুলি যেন ফাঁকা ছেড়ে দেন। পরীক্ষা শেষে, সেন্টার থেকে তাঁদের 'পেপার' যখন সংগ্রহ করা হবে, তখন ফাঁক বুঝে সেই উত্তরের অংশগুলি ভর্তি করে দেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোধরা তালুকা পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়। 


যা জানা গেল...
মূল অভিযুক্ত তুষার ভট্ট, জয় জলারাম স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। হালেই তাঁকে, ওই শহরে নিটের ডেপুটি সেন্টার সুপারিনটেনডেন্ট করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডিশনাল কালেক্টর এবং জেলা শিক্ষা আধিকারিকের একটি টিম পরীক্ষার দিনই সেখানে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযোগ, ভট্টের মোবাইল ফোন নিয়ে নাড়াঘাঁটা করতেই ১৬ জন পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের তথ্য পাওয়া যায়। এই সমস্ত তথ্য তাঁকে পাঠিয়েছিলেন পরশুরাম রায়, দাবি পুলিশের। তালিকাটা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তুষার ভট্ট জানান, ওই কেন্দ্রেই পরীক্ষা দিতে আসার কথা ১৬ জনের। ফাঁকা জায়গায় উত্তর ভর্তি করে দেওয়ার বদলে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগও মেনে নেন তিনি। এক জন পরীক্ষার্থী আগাম বাবদ ৭ লক্ষ টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন যা কিনা পরে তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়, দাবি পুলিশের। এবার, গোটা ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করল পুলিশ।


 


আরও পড়ুন:এবার এক ছবিতে প্রিয়ঙ্কা সরকার ও শারিব হাশমি, প্রকাশ্যে 'দ্য জেব্রাস' ট্রেলার