Cyclone Amphan Live Updates: ২-৩ দিনের মধ্যে কলকাতা আরও সচল হবে, বললেন ফিরহাদ
রাজ্য সরকারের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-১৯৯৫বিদ্যুত্ দফতরের হেল্পলাইন নম্বর ৭৪৪৯৩০০৮৪০, ৯৪৩৩৫৬৪১৮৪
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দLast Updated: 25 May 2020 04:50 PM
প্রেক্ষাপট
Cyclone Amphan Live Updates: কলকাতা: প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় আমপান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে...More
Cyclone Amphan Live Updates: কলকাতা: প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় আমপান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আমপান। দিঘা থেকে দূরত্ব ১,০২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।বুধবার দুপুর বা সন্ধের দিকে প্রবল শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়ের দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার ওপর দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আমপানের প্রভাবে কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় মঙ্গলবার বৃষ্টি হবে। বুধবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার দুপুরে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। কাঁচা বাড়ি বা গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনকে।
গতকালের পর আজ ফের বাধার মুখে দিলীপ ঘোষ। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে তাঁর কনভয় আটকাল পুলিশ। তৃণমূলের মদতের অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। অস্বীকার শাসকদলের। অবরোধ চলছিল, তাই ঘুরে যেতে বলা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। জানালেন এসপি।
বেহালার সেনহাটি কলোনিতে পৌঁছলন সিইএসসি ও পুরসভার কর্মীরা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বিদ্যুতের খুঁটিতে গাছ পড়ে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে গোটা এলাকা। আজ বিকেল চারটে নাগাদ এলাকায় যান সিইএসসি ও পুরসভার কর্মীরা।
গড়িয়াহাটে পূর্ণদাস রোডের মুখে একাধিক গাছ পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। আজ সেই গাছ সরানোর কাজ শুরু করলেন সেনা জওয়ান ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
জল ও বিদ্যুতের দাবিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে সামিল বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার বেশ কয়েকটি পাম্পিং স্টেশনে বসানো হল জেনারেটর। যে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে জেনারেটর বসানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কসবার সেনহাটি কলোনি, স্বামী বিবেকানন্দ পার্ক, পঞ্চসায়র, যোধপুর পার্ক, পর্ণশ্রী সরকারি আবাসন, ভবনীপুরের জি এস বোস সরণি।
৪ দিন পর এলাকায় আংশিক স্বাভাবিক বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর তা নিয়েই বিবাদে জড়াল বাসিন্দাদের দুই পক্ষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১২টার পর রিজেন্ট পার্কের একাংশে বিদ্যুৎ ফেরে। কেন বাকি অংশ অন্ধকারে, তা নিয়ে বচসায় জড়ায় দু’পক্ষ। অভিযোগ তার জেরেই আজ দু’জনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। নেতৃত্ব দেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার। গোটা ঘটনা জানিয়ে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, গতকাল রাতে অভিযুক্তই প্রথমে আক্রান্ত হন। তবে গোটা ঘটনাটাই অনভিপ্রেত, এর সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো অনুচিত।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১৬ নম্বর লেক অ্যভিনিউয়ে একটি বাড়ির ওপর ভেঙে পড়েছে বড় গাছ। গত চারদিন ধরে গাছটি একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িতে দুই মেয়েক নিয়ে থাকেন এক বৃদ্ধা। তাঁদের আশঙ্কা, গাছের ভারে পুরনো দিনের বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। ওই পরিবারের দাবি, প্রশাসনকে জানালেও এখনও গাছ সরানো হয়নি।
‘বিদ্যুৎ ও জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিকে আপ্রাণ চেষ্টা চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ট্যুইট করে জানাল স্বরাষ্ট্র দফতর। সিইএসসি ও বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দিনরাত এক করে কাজ। সেনা-এনডিআরএফের সহায়তায় গাছ সরানো হচ্ছে। ট্যুইট করে জানাল স্বরাষ্ট্র দফতর। অধিকাংশ পানীয় জল সরবরাহের প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ ফিরেছে। অধিকাংশ হাসপাতালেও বিদ্যুৎ ফিরেছে, জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। অধিকাংশ সেচ দফতরের পাম্পিং স্টেশন চালু হয়েছে। ট্যুইট করে জানাল স্বরাষ্ট্র দফতর।
গড়িয়ার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার। ফের আটকে দেওয়া হল বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি। আজ নন্দকুমারের শ্রীকৃষ্ণপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে করার জন্য বেরিয়েছিলেন। কিন্তু পথেই তাঁর গাড়ি আটকাল পুলিশ।
মুদিয়ালির লেক অ্যাভিনিউ , লেক টেম্পল রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়েছে। আজ টালিগঞ্জ থানার পুলিশ, কলকাতা পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তা থেকে গাছ সরিয়ে ফেলার কাজে নামে। স্থানীয় বাসিন্দারাও রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১৬ নম্বর লেক অ্যভিনিউয়ে একটি বাড়ির ওপর ভেঙে পড়েছে বড় গাছ। গত চারদিন ধরে গাছটি একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িতে দুই মেয়েক নিয়ে থাকেন এক বৃদ্ধা। তাঁদের আশঙ্কা, গাছের ভারে পুরনো দিনের বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। ওই পরিবারের দাবি, প্রশাসনকে জানালেও এখনও গাছ সরানো হয়নি।
গড়িয়াহাটে পূর্ণদাস রোডের মুখে একাধিক গাছ পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। আজ সেই গাছ সরানোর কাজ শুরু করলেন সেনা জওয়ান ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
সেনা এলেও সিইএসসি-র কর্মীরা না থাকায় দু দফায় গাছ সরানোর কাজ শুরু হল না। ঘটনা ঘটেছে বেহালার পর্ণশ্রীতে। গতকাল রাতে পর্ণশ্রী এলাকায় গাছ সরানোর কাজ করছিলেন সেনা জওয়ানরা। সেই সময় আচমকাই বিদ্যুতের তারে সংযোগ চলে আসে। এরপরই গতকাল রাতে কাজ বন্ধ করে দেয় সেনা। আজ সকালে সেনা কর্মীরা চলে এলেও সিইএসসি কর্মীরা না আসায় কাজ শুরু করা যায়নি। এর জেরে পুলিশ এবং সিইএসসি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পর্ণশ্রী থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের পর চারদিন কাটলেও এখনও এলাকা বিদ্যুত্হীন। সেনা কর্মীরা চলে এলেও গাছে জড়িয়ে থাকা লাইনে বিদ্যুত্ আছে কী নেই, তা নিশ্চিত করার জন্য সিইএসসি-র কেউ না আসায় ব্যাহত হচ্ছে কাজ।
সল্টলেকে পূর্তভবনের সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরাতে হাত লাগাল সেনা। রাস্তায় একাধিক গাছ পড়ে রয়েছে। এর জেরে রাস্তা বন্ধ। আজ সকালে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ ও সেনাকর্মীরা ওই পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজে হাত দেন। প্রায় ৫০ জন সেনা কর্মী সল্টলেকে পূর্তভবনের সামনে গাছ সরানোর কাজে নেমেছেন।
বেহালার রায়বাহাদুর রোডের চণ্ডীতলায় সেনা নামল গাছ কাটতে। ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে রয়েছে। কিছু গাছ পড়েছে বিদ্যুতের তারের ওপর। তার জন্য এখনও কিছু এলাকা বিদ্যুত্হীন। গতকাল রাতেই সেনা কর্মীরা গাছ সরানোর কাজ শুরু করেন। বিদ্যুত্ না থাকায় রাতে কাজে সমস্যা হয়। আজ সকাল থেকে ফের শুরু হয় গাছ কাটা।
ঘূর্ণিঝড়ের চারদিনের মাথায় জল জমে রয়েছে খিদিরপুরের বেশি কিছু জায়গায়। জলমগ্ন ফ্যান্সি মার্কেট ও তার আশপাশের রাস্তা। তার মধ্যেই চলছে বাজারহাট। রমানাথ পাল রোডে জল জমে আছে ফ্যান্সি মার্কে ও তর আশপাশর রাস্তায়। জল ডিঙিয়েই চলছে বাজার। ১৩- সি রমানাথ পাল রোডের বাড়ি চারদিন ধরে বিদ্যুত্হীন। বাড়িতে ৩০ জন বাসিন্দা। বিদ্যুত্ না থাকায় তীব্র জলসঙ্কটে পড়েছেন বাড়ির বাসিন্দারা। বাবুবাজারের অনেক জায়গায় একই পরিস্থিতি।
67 নম্বর ওয়ার্ডে কসবা থানার কাছে বিদ্যুতের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ চলে। পরে অবরোধ উঠে গেলেও বিক্ষোভ অব্যাহত। গাছ পড়ে বন্ধ রাস্তার একদিক গাছ সরিয়ে রাস্তা খোলার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিজন লাল মুখার্জি। পরে সিইএসসির কর্মীরা এসে বিদ্যুতের লাইন সারাইয়ের এর কাজ শুরু করে। তিনদিন ধরে লোডশেডিংয়ের পর এখনো এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই ফের রাজ্যকে ট্যুইটে খোঁচা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। ট্যুইটে রাজ্যপাল জানান, কয়েকদিন ধরে ন্যূনতম পরিষেবার অভাবে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশা দেখে তিনি ব্যথিত। সরকার ও সংস্থাগুলি অবিলম্বে সমস্ত শক্তি দিয়ে পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করুক। সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তাঁর ট্যুইট, রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে সেনার সাহায্য আরও তিনদিন আগে নেওয়া যেত।
শনিবার মাঝরাতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ। কলকাতা পুরসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের রামগড়ের ঘটনা। উমপুনের জেরে লন্ডভন্ড কলকাতা। বাদ যায়নি ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের রামগড় এলাকাও। কোথাও বাড়ির উপর গাছ পড়েছে আবার কোথাও রাস্তায় ,কোথাও বিদ্যুতের তারের উপর। তছনছ এলাকায় লোডশেডিং সেই উমপুনের সময় থেকেই। এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বারবার বলা সত্ত্বেও কাউন্সিলর নিজে এলাকায় আসেননি। প্রতিনিধি পাঠালেও কোনো ব্যবস্থাই করেননি। কাউন্সিলরকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি, বলে অভিযোগ। সিইএসসিকে বলেও কাজ হয়নি। এলাকার গাছ কেটে সরিয়ে দিলে সিইএসসির কর্মীরা কাজ করবেন। সেইমতো রাস্তার গাছ কেটে সরিয়ে দিয়েছেন রামগড়ের বাসিন্দারাই। চার দিন কেটে গেলেও দেখা মেলেনি সিইএসসি কর্তৃপক্ষের। তাই প্রতিবাদে শনিবার রাতে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। রামগড় এলাকা দিয়ে যে মাল বোঝাই গাড়ি যাচ্ছিল তাদেরকে আটকে রেখে পথ অবরোধ শুরু করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ,কারো বাড়িতে ইনসুলিন রাখা যাচ্ছে না ডায়াবেটিক রোগীর জন্য। কোথাও অশীতিপর বৃদ্ধ বৃদ্ধা অসহায় দিন রাত কাটাচ্ছেন। বিনিদ্র রাত কাটছে বাসিন্দাদের। পাম্পে জল তুলতে না পেরে কার্যত দিশেহারা এলাকার মানুষ। স্নান করতে পুকুরে যেতে হচ্ছে। পথ অবরোধের কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা। পরবর্তীতে রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক রোড অবরোধ করে দক্ষিণ কলকাতা অচল করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন বাসিন্দারা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ পরিদর্শনের পর আজ উমপুনে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার এলাকা পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন নিয়ে কাকদ্বীপে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করলেন বৈঠক। দিলেন একাধিক নির্দেশ। যা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ঘূর্ণিঝড় উমপুনের প্রভাব পর্যটনে। লণ্ডভণ্ড বকখালির কাছে সাজানো গোছানো হেনরি আইল্যান্ড। তাজপুরেও ক্ষতিগ্রস্ত বহু হোটেল। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। চিন্তায় কর্মীরাও।
উমপুনের তাণ্ডবে তছনছ কলকাতা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাটা হচ্ছে উপড়ে পড়া গাছ। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত শহরের এক আবাসনের বাসিন্দাদের। পুনপ্রতিষ্ঠা করা হল উপড়ে পড়া আমগাছ। সহযোগিতার হাত বাড়াল পুলিশও।
লকডাউনের জেরে দু'মাস ধরে বন্ধ কলেজ স্ট্রিটের সমস্ত বইয়ের দোকান। এর মধ্যে উমপুনের দাপটে চরম ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। বুধবার দুর্যোগের সময় অধিকাংশ দোকানে জল ঢুকে গিয়েছে। ভিজে গিয়ে নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার বই। দুর্যোগ কাটলেও দূরের জেলা থেকে সব ব্যবসায়ী এখনও আসতে পারেনি বইপাড়ায়। ফলে মোট ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা।
উমপুনের ৩ দিন পরেও বিপর্যস্ত কলকাতা। বহু এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। শহরজুড়ে পানীয় জলের জন্য হাহাকার। বাইপাস থেকে বেহালা, যাদবপুর, থেকে গড়িয়া, দিকে দিকে বিক্ষোভ। পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর ট্যুইট, উমপুন ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আবহবিদরা যা পূর্বানুমান করেছিলেন তা সম্পূর্ণ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। প্রশংসার যোগ্য তাঁদের দক্ষতা। কিন্তু প্রস্তুতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষতা দেখাতে পারল না, তাই চারদিকে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে অধীর ট্যুইট করেছেন, দিদি, আপনি পারলেন না সাধারণ মানুষ খুব বিপদে পড়ল।
জল ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় শোচনীয় পরিস্থিতিতে দিন কাটাতে হচ্ছে বরানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, এলাকাবাসীরা ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরিয়ে দেওয়ার পরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে শনিবার বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বারুইপুরে যাওয়ার পথে গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিশ। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ সকালে বারুইপুরে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু ঢালাই ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। কেন গাড়ি আটকানো হল এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা কিছু বলেননি। এর জেরে ওই রাস্তায় পরের পর দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। পরে পুলিশ পিছনের গাড়িগুলিকে বের করে দেয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুমতি না থাকার জন্য দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। ২ ঘণ্টা ধরে চলে অচলাবস্থা। শেষপর্যন্ত পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ঘটনাস্থলে অনেক বিজেপি সমর্থক চলে আসেন। কিছুটা দূরে জড়ো হন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও। একসময় বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
বারুইপুরে যাওয়ার পথে গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিশ। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ সকালে বারুইপুরে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু ঢালাই ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। কেন গাড়ি আটকানো হল এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা কিছু বলেননি। এর জেরে ওই রাস্তায় পরের পর দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। পরে পুলিশ পিছনের গাড়িগুলিকে বের করে দেয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুমতি না থাকার জন্য দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। ২ ঘণ্টা ধরে চলে অচলাবস্থা। শেষপর্যন্ত পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ঘটনাস্থলে অনেক বিজেপি সমর্থক চলে আসেন। কিছুটা দূরে জড়ো হন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও। একসময় বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
বারুইপুরে যাওয়ার পথে গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিশ। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ সকালে বারুইপুরে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু ঢালাই ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। কেন গাড়ি আটকানো হল এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা কিছু বলেননি। এর জেরে ওই রাস্তায় পরের পর দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। পরে পুলিশ পিছনের গাড়িগুলিকে বের করে দেয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুমতি না থাকার জন্য দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। ২ ঘণ্টা ধরে চলে অচলাবস্থা। শেষপর্যন্ত পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ঘটনাস্থলে অনেক বিজেপি সমর্থক চলে আসেন। কিছুটা দূরে জড়ো হন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও। একসময় বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
ইদে প্রত্যেকবার আমি নমাজে যোগ দিই। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাড়িতে বসে ইদ উৎসব পালন করুন। পয়লা বৈশাখেও কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। সংক্রমণ রুখতে বাড়ি থেকেই প্রার্থনা করুন। কারও উস্কানিতে কান দেবেন না। বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হয়েছে, প্রশাসন ব্যস্ত ছিল। মাত্র দু’দিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক করা সম্ভব? অন্যান্য রাজ্যে বিপর্যয়ের পর কত সময় লেগেছিল? আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। মানুষ আরও অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা কীভাবে সহ্য করছেন? পুলিশ লকডাউন সামলাবে, নাকি ঝড় সামলাবে? এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র রাজনীতি করবেন না। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। ধ্বংসস্তূপ সরাতে আরও বেশি লোক লাগিয়ে কাজ করাতে হবে। ১০০ দিনের কাজে স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে। কাকদ্বীপের প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
উমপুন বিপর্যয় মোকাবিলায় এনডিআরএফ-এর আরও ১০টি দল আসছে রাজ্যে
উমপুন বিপর্যয় মোকাবিলায় এনডিআরএফ-এর আরও ১০টি দল আসছে রাজ্যে। রাজ্যের অনুরোধেই আরও এনডিআরএফ-এর দল। বর্তমানে রাজ্যে কাজ করছে ২৬টি এনডিআরএফ-এর দল। ঝড়-বিধ্বস্ত ৬টি জেলায় কাজ করছে এনডিআরএফ।
উমপুন বিপর্যয় মোকাবিলার চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর সাহায্য: রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর
‘সর্বশক্তি দিয়ে জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে। চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর সাহায্য: রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। ‘মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এসডিআরএফ। চাওয়া হয়েছে রেল, বন্দর থেকে বেসরকারি সাহায্য। পানীয় জল পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। পানীয় জল, নিকাশী পরিকাঠামো দ্রুত স্বাভাবিকের চেষ্টা। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে জেনারেটর দিয়ে ব্যবস্থা। গাছ কাটতে বিভিন্ন দফতরের শতাধিক দল কাজ করছে। সিইএসসি-ডব্লুবিএসইডিসিএলকে সর্বশক্তি দিতে কাজের নির্দেশ। দিনরাত কাজ করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে’, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ট্যুইট স্বরাষ্ট্র দফতরের।
‘জেলায় মোট প্রায় ১০ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । বর্ষার আগে রাস্তার মেরামতি করে দিতে হবে। বর্ষা-জনিত রোগের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে অ্যান্টি ভেনম, ওআরএস পর্যাপ্ত রাখতে হবে। ধ্বংসস্তূপ সরাতে আরও বেশি লোক লাগিয়ে কাজ করাতে হবে। ১০০ দিনের কাজে স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আয়লাও দেখেছি, কিন্তু এমন বিপর্যয় কখনও দেখিনি। বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দেওয়া এখন বড় দায়িত্ব। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরিয়ে দিতে হবে। জেলায় ৪১ হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নদীবাঁধ ভেঙেছে ৫৬ কিলোমিটার। রাজ্যে ৬ কোটি, জেলায় ৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় বিপর্যয়। এই বিপুল ক্ষতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যেখানে পানীয় জলের ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, সেখানে পাউচের ব্যবস্থা। মানুষ পানীয় জল পাচ্ছে না, এটা যেন শুনতে না হয়। ম্যানগ্রোভ এবং বৃক্ষরোপণের দায়িত্ব বন দফতরকে নিতে হবে। এখন প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। মৎস্যজীবীদের সবরকম সাহায্য করতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাজে লাগাতে হবে। কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়। আরও বেশি করে কমিউনিটি কিচেন চালাতে হবে। খাদ্য দফতরকে সঠিক ভাবে রেশন বণ্টন করতে হবে। ’ : মুখ্যমন্ত্রী
‘যাদের বই দুর্যোগে নষ্ট হয়েছে, তাদের বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলের পোশাক নষ্ট হয়ে গেলেও ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সরকারি পেনশন প্রকল্পের টাকা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। এই প্রকল্পে কোনও অভিযোগ যেন না আসে। আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কোনও বাস যেন বসে না থাকে। বেসরকারি বাস মালিকদেরও বাস চালাতে অনুরোধ। কিন্তু ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিতে পারব না। আমরা একসঙ্গে ৪টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং ঘূর্ণিঝড় । করোনার জন্য এক টাকাও এখনও পাইনি। কেন্দ্রের থেকে কোনও টাকাই আমরা পাচ্ছি না। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে’: মুখ্যমন্ত্রী
‘সুন্দরবন পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত করতে হবে, বড় প্রকল্প নয়, ছোট ছোট ভাগে কাজ করতে হবে। যাদের বই দুর্যোগে নষ্ট হয়েছে, তাদের বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলের পোশাক নষ্ট হয়ে গেলেও ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সরকারি পেনশন প্রকল্পের টাকা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। এই প্রকল্পে কোনও অভিযোগ যেন না আসে। আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কোনও বাস যেন বসে না থাকে। বেসরকারি বাস মালিকদেরও বাস চালাতে অনুরোধ। কিন্তু ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিতে পারব না। আমরা একসঙ্গে ৪টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং ঘূর্ণিঝড়। সুন্দরবন পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত করতে হবে। বড় প্রকল্প নয়, ছোট ছোট ভাগে কাজ করতে হবে’ : মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বললেন: ‘ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়। অর্থের অপচয় করা যাবে না। করোনার ধাক্কায় এমনিতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। রাস্তার আগেও গুরুত্ব দিতে হবে ভেঙে পড়া বাড়ি পুনর্গঠনে’
বারুইপুরে যাওয়ার পথে গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিশ। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ সকালে বারুইপুরে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু ঢালাই ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। কেন গাড়ি আটকানো হল এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা কিছু বলেননি। এর জেরে ওই রাস্তায় পরের পর দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। পরে পুলিশ পিছনের গাড়িগুলিকে বের করে দেয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুমতি না থাকার জন্য দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। ২ ঘণ্টা ধরে চলে অচলাবস্থা। শেষপর্যন্ত পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ঘটনাস্থলে অনেক বিজেপি সমর্থক চলে আসেন। কিছুটা দূরে জড়ো হন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও। এক সময় বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
কলকাতা পুরসভার ১০৫ এবং ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গড়ফার একাধিক এলাকা ঘূর্ণিঝড়ের রাত থেকেই বিদ্যুত্হীন। প্রতিবাদে গতকাল সন্ধে থেকে গড়ফা মেন রোড অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গতকাল রাত থেকে আটকে রাখা হয়েছে ভূগর্ভস্থ লাইন মেরামতির জন্য আসা সিইএসসি-র কর্মীদের। গাছের ডাল ভেঙে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কলকাতা পুরসভার ১০৫ এবং ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গড়ফার একাধিক এলাকা ঘূর্ণিঝড়ের রাত থেকেই বিদ্যুত্হীন। প্রতিবাদে গতকাল সন্ধে থেকে গড়ফা মেন রোড অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গতকাল রাত থেকে আটকে রাখা হয়েছে ভূগর্ভস্থ লাইন মেরামতির জন্য আসা সিইএসসি-র কর্মীদের। গাছের ডাল ভেঙে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেহালায় কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পঞ্চাননতলা ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুত্হীন। জলও নেই। এর প্রতিবাদে আজ পাড়ার মহিলারা বালতি হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে বক্ষোভ দেখান। ওই ওয়ার্ড প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে বিপত্তি। সেই গাছ কাটার পর বিদ্যুত্ সংযোগ ফেরানোর কাজে হাত দেবে সিইএসসি, এমনটাই সূত্রের খবর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের ভাসা মাঝেরপাড়ায় মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু যুবকের। গতকাল দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে। পরিবারের ৮ জন বাড়িতেই ছিলেন। সেই সময় আচমকাই বাড়ির চাল ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আটজনকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চারজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। আজ সকালে মৃত্যু হয় ৩৪ বছরের সামাদ আলি মণ্ডলের। পেশায় চা বিক্রেতা সামাদের রোজগারেই সংসার চলত।
জল ও বিদ্যুতের দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় কল্যাণী এক্সপ্রসওয়েতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অবরোধ। সেই অবরোধকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। আজ সকালে খড়দা থানার দোপেড়িয়া মোড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। আহত হন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে সরিয়ে দেয়। এলাকা উত্তপ্ত।
বারুইপুরে যাওয়ার পথে গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিশ। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ সকালে বারুইপুরে ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেরিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু ঢালাই ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। কেন গাড়ি আটকানো হল এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা কিছু বলেননি। এর জেরে ওই রাস্তায় পরের পর দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। পরে পুলিশ পিছনের গাড়িগুলিকে বের করে দেয়।
ঘূর্ণিঝড়ের ২ দিন পরেও বিদ্যুৎ না আসায় বিক্ষোভ দক্ষিণ দমদম পৌরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডে। শীলকলোনি এবং রবীন্দ্রনগর এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিইএসসির কর্মীরা। রাতে তাদেরকে আটকে রাখা হয়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। দমদম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইকে ঘোষণা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা চেষ্টা করে।
উমপুন আপডেট: খলিল আহমেদের কাজকর্ম নিয়ে কিছু মহলে ক্ষোভ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি খলিলকে বলেন কিন্তু সমস্যা মেটেনি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল ফিরহাদ হাকিমেরই নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব পদে, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন বিনোদ কুমার।
রাজ্যের কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয়ের ইতিহাস রয়েছে। সিপিএমের আমলে আয়লার টাকা ঠিকমত বণ্টন হয়নি। এই সরকারকেও সন্দেহ করি আমরা, এদের আমলেও কেন্দ্রীয় অর্থ নিয়ে দুর্নীতি হতে পারে। বললেন দিলীপ ঘোষ।
উমপুন আপডেট: কেন্দ্রীয় সাহায্যের টাকা জনধন অ্যাকাউন্টের মত ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হোক। আয়লার সময় মমতা কেন্দ্রকে বলেছিলেন, রাজ্যের মাধ্যমে টাকা দিলে সিপিএম লুঠ করে নেবে, সরাসরি দিন। মুখ্যমন্ত্রীর কথাই সমর্থন করছি, টাকা দুর্গতদের হাতে সরাসরি আসুক। বললেন দিলীপ ঘোষ।
উমপুন আপডেট: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টারে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি ও উমপুনে ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে।
উমপুন আপডেট: ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্র সরকারও তাঁর পাশে থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। এই সঙ্কটের সময় গোটা দেশ বাংলার পাশে আছে। করোনার কারণে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে না। ‘দ্রুত রাজ্য এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসুক, আমি পাশে আছি’, বসিরহাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
উমপুন আপডেট: ‘বাংলার এই কঠিন সময়ে আমরা সঙ্গে আছি। বাংলার সব প্রয়োজনে কেন্দ্র সরকার পাশে আছে। রাজ্য সরকারকে এই মুহূর্তে সাহায্যস্বরূপ ১০০০ কোটি। যাঁরা এই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা।‘ বসিরহাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
উমপুন আপডেট: মুখ্যমন্ত্রী জানান, হেলিকপ্টারে করে রাজারহাট, ভাঙড়, গোসাবা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ হয়ে তাঁরা যাবেন বসিরহাটে। সেখানে রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মূল্যায়ন-বৈঠক করবেন মোদি ও মমতা। রাজ্যের তরফে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। বসিরহাটে বৈঠক সেরে এরপর ওড়িশায় উমপুন-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
উমপুন আপডেট: কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে মোদি। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
উমপুনের পর মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন রাষ্ট্রপতির। ফোনে রামনাথ কোবিন্দ মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, বাংলার বিপর্যয় দেখে চোখে জল এসে গেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খোঁজ নেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যোগাযোগ এখনও হয়নি।
উমপুন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টা ৫০-এ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে তাঁর বিমান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: আকাশপথে এলাকা পর্যবেক্ষণের পরে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে নামবেন তাঁরা। সেখানে রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মূল্যায়ন-বৈঠক করবেন মোদি ও মমতা। বসিরহাটে বৈঠক সেরে ওড়িশায় উমপুন-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উমপুন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: আজ উমপুন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বাংলা-ওড়িশায় উমপুন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক করে ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব।
উমপুনের দাপটে বিপর্যস্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর। হাওড়ায় জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন, লাগবে সময়, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
উমপুনের দাপটে বিপর্যস্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর। হাওড়ায় জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন, লাগবে সময়, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা শহরে যেন কোনও যুদ্ধবিমান এসে বোমাবর্ষণ করে চলে গেছে। শহরের বেশিরভাগ বড় গাছই আর আস্ত নেই। উপড়ে গিয়েছে ল্যাম্পপোস্ট। লন্ডভন্ড রাস্তাঘাট। শহরজুড়ে ধ্বংসস্তুপের ছবি।
কলকাতা শহরে যেন কোনও যুদ্ধবিমান এসে বোমাবর্ষণ করে চলে গেছে। শহরের বেশিরভাগ বড় গাছই আর আস্ত নেই। উপড়ে গিয়েছে ল্যাম্পপোস্ট। লন্ডভন্ড রাস্তাঘাট। শহরজুড়ে ধ্বংসস্তুপের ছবি।
কলকাতা শহরে যেন কোনও যুদ্ধবিমান এসে বোমাবর্ষণ করে চলে গেছে। শহরের বেশিরভাগ বড় গাছই আর আস্ত নেই। উপড়ে গিয়েছে ল্যাম্পপোস্ট। লন্ডভন্ড রাস্তাঘাট। শহরজুড়ে ধ্বংসস্তুপের ছবি।
কাল রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্গত এলাকায় যাবেন তিনি। আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক বৈঠক। বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী।
কাল রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্গত এলাকায় যাবেন তিনি। আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক বৈঠক। বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী।
কাল রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্গত এলাকায় যাবেন তিনি। আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক বৈঠক। বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় উমপুন। রাস্তাজুড়ে পড়ে রয়েছে বিশাল গাছ। নিতান্ত প্রয়োজনে যাঁদের বেরোতে হচ্ছে, তাঁদের সেই গাছের নীচ দিয়ে প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডবের রেশ কাটার আগেই আবার আকাশ কালো করে মেঘ। এখনও ঘূর্ণিঝড় উমপুনের ধ্বংসলীলার ছাপ এখনও ছড়িয়ে কলকাতা জুড়ে। ঝড়ের দাপটে বিভিন্ন জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছ। এখনও তা রাস্তাজুড়ে পড়ে রয়েছে। কোথাও গাছের ভারে ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার। কোথাও উপড়ে গিয়েছে লাইটপোস্ট বা সিগনাল পোস্ট। আর তার জেরে আটকে গিয়েছে রাস্তা। কোনও রাস্তায় আবার এখনও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় উমপুনের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা।
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: ‘উমপুনের ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে হাজার কোটির তহবিল। আবহাওয়ার উন্নতি হলে দুই ২৪ পরগনা পরিদর্শন। পরিস্থিতি দেখে শনিবার দুই ২৪ পরগনা পরিদর্শন’ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: ‘উত্তর-দক্ষিণ পরগনায় খাওয়ার জল নেই। সারানো রাস্তা যেন ৩ বছর স্থায়ী হয়, এটা দেখতে হবে। অতি দ্রুত বাঁধগুলো মেরামত করতে হবে’ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: ছোট ছোট জায়গায় আগে কাজ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে রাস্তার কাজ করতে হবে। কৃষি-উদ্যান পালনে কত ক্ষতি হয়েছে, তার রিপোর্ট চাই : মুখ্যমন্ত্রী মমতা
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: ‘দেখেশুনে টাকা খরচ করতে হবে। করোনার জন্য ২০০ কোটির তহবিল করেছিলাম। করোনার জন্য যা তহবিল হয়েছিল, তারও বেশি খরচ। ক্ষতিপূরণে রাজ্যকে সাহায্য করুক কেন্দ্রীয় সরকার : মুখ্যমন্ত্রী মমতা
সাইক্লোন উমপুন আপডেট: ‘ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বহু এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সহযোগিতা। বহু এলাকায় এখনও টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাব : মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ঘূর্ণিঝড় উমপুন তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে হাওড়ায়। সেই ঝড়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ৩২ বছরের এক যুবকের। বেলুড়ের হারাধন মুখার্জি রোডের বাসিন্দা ওই যুবক আজ ভোরে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকালের ঝড়ে বেলুড়ের বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙেছে। ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার। সেগুলি সরানোর কাজ শুরু করেছেন পুরসভার কর্মীরা।
সাইক্লোন উমপুন: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকে গাছ পড়ে যুবকের মৃত্যু। মিনাখাঁয় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। হিঙ্গলগঞ্জে ধূলিসাত্ ঘর-বাড়ি। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও বিপর্যস্ত টেলি যোগাযোগ।
উমপুনের তাণ্ডব থেমেছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটেনি আজও। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশ সংলগ্ন তিন জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এরপর ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে উমপুন। তারপর বাংলাদেশে ঢুকে শক্তি হারাবে সে।
উমপুনের তাণ্ডবে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজারের দিকে যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়া অফিসের সামনে রাস্তাজুড়ে পড়ে রয়েছে গাছ। ছিড়ে গেছে তার। ডাকঘরের বোর্ড উড়ে চলে এসেছে রাস্তায়।
'এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। ১৭৩৭ এ এমন ভয়ঙ্কর ঝড় হয়েছিল। ওয়ার রুমে বসে আছি আমি। নবান্নয় আমার অফিস কাঁপছে। একটা কঠিন পরিস্থিতির যুদ্ধকালীন মোকাবিলা করলাম। মাঝরাত অবধি হয়ত ঝঞ্ঝা চলবে। নন্দীগ্রাম, রামনগর প্রভৃতি এলাকায় বড় ক্ষতি। দঃ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।'
চারিদিকে গাঢ় অন্ধকার, তুমুল বৃষ্টি। শহর জুড়ে চলছে উমপুনের তাণ্ডব। ছাতা বা রেনকোট কাজে আসছে না। রুবি মোড় থেকে বালিগঞ্জের রাস্তায় ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। ফলে বন্ধ রাস্তা। ঝড় বৃষ্টির দাপটে গাছ কাটাও কার্যত অসম্ভব।
ঘূর্ণিঝড় উমপুনের প্রভাবে ওড়িশায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়। ভদ্রকে বাড়ি ভেঙে শিশুর মৃত্যু। জগৎসিংহপুরে উপড়ে পড়ে গাছ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।ওড়িশায় খোলা হয়েছে ১ হাজার ৭০৪টি ত্রাণ শিবির। ভুবনেশ্বর, ভদ্রক, বালেশ্বর, কেন্দ্রাপাড়াতেও সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ সাইক্লোনের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাইক্লোনের ফরওয়ার্ড সেক্টর ৫০ কিমি দূরে। এক থেকে দেড় ঘণ্টায় কলকাতা ছোঁবে উমপুনের ফরওয়ার্ড সেক্টর বা হেড। ইতিমধ্যেই তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে শহরে।
গাছ সরাতে বা কাটতে এখনই রাস্তায় নামতে হবে না, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, জলোচ্ছ্বাস হবে গঙ্গাতেও, অমাবস্যায় এমনিই জলে প্রাবল্য বেশি থাকে। আগামী ২ ঘণ্টায় কলকাতায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। জানালেন আবহবিদ জে কে মুখোপাধ্যায়
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: ঘূর্ণিঝড় উমপুনের প্রভাবে জলের তোড়ে ভেসে গেল হাওড়া ফেরিঘাট। লঞ্চগুলিকে চেনের সাহায্যে বেঁধে রাখা হয়। এদিন হাওড়া ঘাট, তেলকল ঘাট ও রামকৃষ্ণপুর ঘাট পরিদর্শন করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত বলে তিনি জানান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালির বিরিঞ্চিবাড়ি এলাকায় নদী বাঁধে ভাঙনের আশঙ্কা। আতঙ্কিত ঝড়খালি ও বাসন্তীর বাসিন্দারা। নদী বাঁধ নির্মাণের কাজে প্রশাসনের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় উমপুন। আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল, দুপুর আড়াইটে থেকেই শুরু হয়ে যাবে স্থলভূমিতে ঢোকার প্রক্রিয়া। ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে সুন্দরবনে। দিঘা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: ঘূর্ণিঝড় উমপুন আছড়ে পড়ার আগে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। বেলেঘাটা রাসমনি বাজারে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ। বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকে সরে যেতে বলা হয় বাসিন্দাদের। ঘূর্ণিঝড় উমপুন মোকাবিলা তৎপর কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়াবাগান এলাকায় চিহ্নিত করা হয় ৩টি বিপজ্জনক বাড়ি। বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে। করোনা আবহে থার্মাল গান দিয়ে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা মাপার পর রাখা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় উমপুন। কলকাতা থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসার পর আজ বিকেলে সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার বেগে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। আছড়ে পড়ার পর কলকাতা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়। এ রাজ্যে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কথা উমপুনের। ফলে আয়লার পর ফের একবার সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। উমপুনের প্রভাবে কলকাতায় প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি পশ্চিম মেদিনীপুর, এই চার জেলায় ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝড়। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের ফলে দুই ২৪ পরগনার উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৫ ফুটের বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলে ঢেউয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে পারে ১২ ফুট।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: ঘূর্ণিঝড় উমপুনের জের। বাতিল হাওড়া থেকে দিল্লি যাতায়াতের এসি স্পেশাল এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-নতুন দিল্লি এসি স্পেশাল এক্সপ্রেস। আজ হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল। বাতিল হয়েছে আগামীকালের নতুন দিল্লি-হাওড়া এসি স্পেশাল এক্সপ্রেসও। ট্রেনটি আগামীকাল দিল্লি থেকে ছাড়ার কথা ছিল।
কলকাতাতেও জোরাল প্রভাব ফেলবে ঘূর্ণিঝড় উমপুন। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পোর্ট ট্রাস্ট। কলকাতা, হলদিয়া, সাগর - এই তিনটি জায়গায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ডকের জাহাজগুলিকে ভিতরে রাখা হয়েছে। বেঁধে রাখা হয়েছে বিশেষ মেরিন রোপ দিয়ে। বার্জগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় বিভাগের অফিসার ও কর্মীদের ২ দিনের জন্য দফতরেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যে জাহাজগুলি সমুদ্রে রয়েছে, সেগুলিকে উমপুনের গতিপথের বাইরে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পোর্ট ট্রাস্টের উদ্ধারকারী দল।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: ঘূর্ণিঝড় উমপুনের প্রভাবে ওড়িশায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়। এই মুহূর্তে পারাদ্বীপে ঘণ্টায় ১০৬ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৫ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ১ হাজার ৭০৪টি ত্রাণ শিবির।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: ধেয়ে আসছে উমপুন। সকাল ৯টার খবর অনুযায়ী, কলকাতা থেকে এই মুহূর্তে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে উমপুন। প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসার পর আজ বিকেলে সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার বেগে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। এ রাজ্যে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কথা উমপুনের। ফলে আয়লার পর ফের একবার সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। উমপুনের প্রভাব পড়তে পারে কলকাতায়। প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি পশ্চিম মেদিনীপুর, এই চার জেলায় ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝড়। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের ফলে দুই ২৪ পরগনার উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৫ ফুটের বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলে ঢেউয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে পারে ১২ ফুট।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সকাল থেকেই বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া। ফেরি চলাচল বন্ধ। দোকানপাট খোলেনি। রাস্তা শুনশান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জে সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। গতকাল রাতেও বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। দোকানপাট খোলেনি। রাস্তাও ফাঁকা।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: উপকূলের আরও কাছে চলে এল ঘূর্ণিঝড় উমপুন। এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে ঝড়। দিঘা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে উমপুন। পারাদ্বীপে শুরু হয়েছে ঝড়। ঝড়ের গতিবেগ ১০৬ কিলোমিটার। বিকেলে রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে উমপুন। সুন্দরবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস। আয়লার পর আরও একবার বাদাবনে পড়তে পারে প্রভাব। কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ১৩০ কিমি। উঁচু ঢেউয়ের জেরে দুই ২৪ পরগনায় প্লাবনের আশঙ্কা।
ঘূর্ণিঝড় উমপুন: প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় উমপুন। আজ বিকেলে সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার বেগে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। এ রাজ্যে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড় উমপুনের। প্রভাব পড়তে পারে কলকাতায়। প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি পশ্চিম মেদিনীপুর, এই চার জেলায় ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝড়। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের ফলে দুই ২৪ পরগনার উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ৪-৫ মিটার। পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলে ঢেউয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে পারে ৩-৪ মিটার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় উমপুন বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে ২৮০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছে।
সুপার সাইক্লোন উমপুন: আজ স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় উমপুন। তার মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ১৯টি দলকে পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে ৬টি দল, কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে ৪টি করে দল। ৩টি দল মোতায়েন উত্তর ২৪ পরগনায়। এছাড়া, একটি করে দল রয়েছে হুগলি ও হাওড়ায়। এমনটাই জানিয়েছেন এনডিআরএফ-এর কমান্ডান্ট নিশীথ উপাধ্যায়
স্থলভাগের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন উমপুন। আজ দুপুর থেকে সন্ধের মধ্যে আছড়ে পড়তে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝে। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। আয়লা ও বুলবুলের থেকেও ভয়ঙ্কর এই উমপুন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘূর্ণিঝড় উম্পুন: দিঘার আরও কাছে সুপার সাইক্লোন ‘উম্পুন’। দিঘা থেকে এখন ৪৭০ কিমি দূরে ঘূর্ণিঝড়। পারাদ্বীপ থেকে ‘উম্পুন’-এর দূরত্ব ৩৬০ কিমি। কাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে আছড়ে পড়বে। দিঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ ৭ জেলাকে লন্ডভন্ড করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দুই ২৪ পরগনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলায় শুরু বৃষ্টি। কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সুপার সাইক্লোনের জেরে উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। কাল দঃবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: সুপার সাইক্লোন আমপান কাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। এমনটাই এখনও পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। এই প্রেক্ষিতে দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। ইতিমধ্যেই গোটা জেলায় খোলা হয়েছে একাধিক আশ্রয় শিবির। দিঘা ও জেলার অন্য উপকূল অঞ্চলে পুলিশ নিরন্তর মাইক নিয়ে প্রচার করছে। ১৬ হাজার লোককে এখনও পর্যন্ত সরানো হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। পূর্ব মেদিনীপুরেরই মন্দারমণিতে আমপানের জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে বাঁধ দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তিন জেলায় ঝড়ের গতিবেগ সাধারণত ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৭৫ কিমি থাকবে। তবে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: সন্ধে ৬টার বুলেটিন অনুযায়ী, দিঘার আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান। দিঘা থেকে ৫১০ কিমি দূরে ‘আমপান। কাল বিকেল-সন্ধে নাগাদ দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে। দুই ২৪ পরগনায় ৪-৫ মিটার জলোচ্ছ্বাস। কলকাতায় কাল ১১০-১৩০ কিমি বেগে ঝড়। কাল কলকাতায় ভারী-অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুই ২৪ পরগনা ও পূঃ মেদিনীপুরে কাল অতিভারী বৃষ্টি। কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোন। ওই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরের পাশাপাশি প্রভাব পড়বে কলকাতাতেও। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কাল সকাল থেকে কলকাতায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিমি গতিবেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: জরুরি বৈঠক ক্যাবিনেট সচিবের। জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক। ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। অবিলম্বে উপকূল এলাকা খালি করতে বলল কেন্দ্র। তৈরি সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী। উদ্ধারে প্রস্তুত সেনা কপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে তৎপরতা। টেলিকম-বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অফিসারদের তৈরি থাকার নির্দেশ।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘ঝড় থামার পরেই বাড়ি থেকে বেরোবেন না। বৃহস্পতিবার প্রশাসন বলার পরে বাইরে বেরোন। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমের নম্বর ‘(০৩৩)২২১৪-৩৫২৬, (০৩৩)২২১৪-৩৫২৬১৯৯৫।’ এছাড়া টোল-ফ্রি নম্বর ১০৭০।
ঘূর্ণিঝড় আমপান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিয়ে পদক্ষেপ। ত্রাণশিবির থেকে কেউ বাইরে বেরোবেন না। বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলে শিবিরে আসুন। সবার কাছে আমরা সহযোগিতা চাইছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় পাঠানো হচ্ছে।’
ঘূর্ণিঝড় আমপান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাইক্লোন সেন্টারে যতটা সম্ভব সতর্কতা নেবেন। দঃ ২৪ পরগনায় ২ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ৪০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। পঃ মেদিনীপুরে ১০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় আমপান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মেদিনীপুরের একাংশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্ক ফোর্স। পুলিশ-প্রশাসনের নিচুতলাতেও বার্তা পৌঁছেছে।‘
ঘূর্ণিঝড় আমপান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঘূর্ণিঝড়। অনেকে বলছেন আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে। কাল বাড়ি থেকে কেউ বেরোবেন না। ঘূর্ণিঝড়ে কী হবে, তা কেউ জানে না। এই সময়ে সমুদ্রে কেউ যাবেন না।
আমপানের প্রভাবে কলকাতায় আগামীকাল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে। ফলে ঝুঁকি থাকছে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে। সেই কারণেই আজ কলকাতা পুরসভা ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। তেলঙ্গাবাগানে বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়।
ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমপান। আগামীকাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে আমপান। মোকাবিলায় তত্পর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে গতবছর দুটি ঘূর্ণিঝড় দেখেছে রাজ্য। গতবছর নভেম্বর মাসে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজ্যে।
গত বছরেরই মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে অবশ্য সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল ওড়িশায়। তবে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আগে যথেষ্টই দুর্বল হয়ে পড়েছিল ফণী।
২০০৯-এ ঘূর্ণিঝড় আয়লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল রাজ্যের উপকূল অঞ্চলে। মে মাসের ওই ঘূর্ণিঝড়ে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিদ্যুতের মেন সুইচ অফ করুন, বন্ধ করে রাখুন গ্যাস। দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন। কাঁচা বাড়ি হলে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বাড়ি ছাড়ুন। রেডিওয় খবর শুনুন। গরম জল পান করুন। শুধু সরকারি সতর্কবার্তাই বিশ্বাস করুন। বাইরে থাকলে
ভাঙা বাড়িতে আশ্রয়ের খোঁজে ঢুকবেন না। ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটি, তার থেকে দূরে থাকুন। ধারালো কিছুর কাছে আসবেন না।
ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্য়ানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আমপান মোকাবিলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার স্বরাষ্ট্র সচিব। সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার ত্রাণ বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তৈরি উপকূলরক্ষী বাহিনীও। আইএমডি, এনডিআরএফ ও এনডিএমএ আধিকারিকরাও যোগ দেন বৈঠকে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সব থেকে বেশি সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। ৪-৫ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। উপকূলের কাছে হাওয়া বইবে সব থেকে বেশি। দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে সর্বাধিক ১৮৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। আগামীকাল ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। গোটা দক্ষিণবঙ্গেই কাল বৃষ্টি হবে। পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪পরগনায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। হাওড়া, হুগলিতেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। জানাল আবহাওয়া দফতর।
আমপান সঙ্কটে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে। বিভিন্ন জায়গায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে টেলিফোন সংযোগ, ওপড়াতে পারে বিদ্যুতের খুঁটি। কাঁচা বাড়িগুলি মাটিতে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা।
আমপান নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুলিশও। ইতিমধ্যেই কলকাতার সমস্ত থানার ওসিদের সতর্ক করেছেন পুলশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি আজ শহরের সব থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠকও করবেন। সতর্ক করা হয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশকে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার চালানো হবে।
সুপার সাইক্লোন আমপানের প্রভাব পড়ার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল অঞ্চলেও। এই প্রক্ষিতে আমপানের মোকাবিলায় গতকালই পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক। বুলবুল মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকা থেকে ৩০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। প্রশাসনের লক্ষ্য, আগামী কালের মধ্যেই এক লক্ষ মানুষকে সরানো। মাইকে পুলিশের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। জেলা জুড়ে খোলা হয়েছে ৪০০ আশ্রয় শিবির। আজ সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে বকখালিতে। উপকূল এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। এছাড়াও সাগরের কাছে ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে ১ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ৬ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি আসতে আসতে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোন আমপান। আগামীকালের আগে তার পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। সুপার সাইক্লোন দুর্বল হয়ে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। উত্তর-উত্তর পূর্ব দিক হয়ে বঙ্গোপসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছবে এটি। তারপর দিঘা-হাতিয়ার ওপর দিয়ে সুন্দরবনের গা ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার থেকে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সুপার সাইক্লোন আমপান আগামীকাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। এমনটাই এখনও পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। এই প্রেক্ষিতে দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। ইতিমধ্যেই গোটা জেলায় খোলা হয়েছে একাধিক আশ্রয় শিবির। দিঘা ও জেলার অন্য উপকূল অঞ্চলে পুলিশ নিরন্তর মাইক নিয়ে প্রচার করছে। ১৬ হাজার লোককে এখনও পর্যন্ত সরানো হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
মঙ্গলবার সকালের খবর: সুপার সাইক্লোন আমপান ক্রমেই এগিয়ে আসছে। বর্তমানে তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার। সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ আমপানের অবস্থান দিঘা থেকে ৭২০ কিলোমিটার দূরে। আর ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব ৫৭০ কিলোমিটার। আমপান এগোচ্ছে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব, কাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে সুপার সাইক্লোনের আছড়ে পড়ার কথা। ওই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।
কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার কথা। কাল সকালে কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কাল বেলার দিকে হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। বিকেলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।
আমপান আছড়ে পড়ার পর প্লাবনের আশঙ্কা পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায়। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আমপান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক কলকাতা পুরসভায়।বিপজ্জনক বাড়ি সরে আসতে বাসিন্দাদের পরামর্শ।পুরসভার কন্ট্রোম রুম চালু থাকবে ২৪ ঘণ্টা।পাম্পিং স্টেশনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। জানালেন বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
এনডিআরএফ প্রধান এসএন প্রধান বলেছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আমপানকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না। কারণ, দেশ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুপার সাইক্লোনের মুখোমুখি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ১৯ ও ২০ মে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আইএমডি-র ডিজি এম মহাপাত্র বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আমপান খুবই তীব্র ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে। এনডিআরএফ প্রধান বলেছেন, এটি একটি দ্বৈত চ্যালেঞ্জ। কারণ, কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এই ঝড়। ঘরবাড়ির দুর্বল কাঠামো, গাছ উপড়ে যাওয়া, রেললাইন ও বিদ্যুতবাহী তারের ক্ষতি হতে পারে। আইএমডি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে সাইক্লোনের কারণে ৩ থেকে ৪ মিনিট ঢেউ উঠতে পারে।
প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘুর্ণিঝড় আমপান ধেয়ে আসছে রাজ্যের দিকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ওই ঘূর্ণিঝড় এখন দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করলেও ক্রমেই দিঘার থেকে তার দূরত্ব কমছে। এই মুহূর্তে দিঘার থেকে তার দূরত্ব ৮৯০ কিলোমিটার। ওড়িশার পারাদ্বীপের থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে দাবি, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে আমপান। বুধবার দুপুর বা সন্ধের দিকে প্রবল শক্তিশালী ওই ঘুর্ণিঝড়ের দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার ওপর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। এর জন্য মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আমপানের প্রভাবে কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় মঙ্গলবার বৃষ্টি হবে। বুধবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার দুপুরে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্রে ১৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ আসতে পারে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। কাঁচা বাড়ি বা গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এর জন্য সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনকে।
ঘূর্ণিঝড় আমপান মোকাবিলা নিয়ে গৃহীত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। পিএমও সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বিস্তারিত ও মানুষদের নিরাপত স্থানে সরিয়ে আনা সংক্রান্ত এনডিআরএফের পেশ করা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের পর্যালোচনা করেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ঘূর্ণিঝড় আমপানের মোকাবিলায় বাড়তি সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন গত ২ দিন ধরে ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, রায়দিঘি, সাগরে আগাম সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের সমস্ত ফেরিঘাট। জেলা প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সাগরদ্বীপ ও নামখানায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল পৌঁছে গিয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আসার আগে উপকূল অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের গতি ও তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে খড়্গপুর ও বিজয়ওয়াড়া রুটে সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর এই রুটে কোনও ট্রেন চলবে না।
প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমপান পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার ওপর দিয়ে বুধবার যেতে পারে। তার জন্য ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূল জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। জরুরি পরিস্থিতির জন্য মজুত রাখা হয়েছে খাবার ও ত্রিপল। ৮টি ঘূর্ণিঝড় সেন্টার সক্রিয় করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলকেও। উপকূল এলাকায় কাঁচা বাড়ি থেকে প্রয়োজনে বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি।
পশ্চিমবঙ্গের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। পরশু বিকেল বা সন্ধে নাগাদ আমপান দিঘা ও হাতিয়া দ্বীপের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে পারে। সে সময় ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতিতে প্রবল ঝড় হওয়ার আশঙ্কা। এমনকী ঝড়ের গতি ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। মাটির বাড়িগুলি মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে আমপান, পাকা বাড়িরও ক্ষতির আশঙ্কা।
আমপানের প্রস্তুতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি থেকে ১১ লাখ মানুষকে সরাতে চাইছে ওড়িশা। আজ সন্ধে থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ভারী বৃষ্টি আশঙ্কা গজপতি, গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংপুর ও কেন্দ্রাপাড়ায়।
ঘূর্ণিঝড় আমপান মোকাবিলা নিয়ে বৈঠক অমিত শাহের, বৈঠকে ডাকা হল রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারকে। রেসিডেন্ট কমিশনারকে এভাবে ডাকায় ক্ষুব্ধ নবান্ন, রাজ্যকে না জানিয়ে ডাকা হয়েছে কমিশনারকে, দাবি করেছে তারা। রাজ্যকে জানিয়ে ডাকা উচিত ছিল কমিশনারকে, মত নবান্নের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ঘূর্ণিঝড় আমপানের মোকাবিলায় বাড়তি সতর্কতা। জেলা প্রশাসন গত ২ দিন ধরে ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, রায়দিঘি, সাগরে আগাম সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের সমস্ত ফেরিঘাট। জেলা প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সাগরদ্বীপ ও নামখানায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল পৌঁছে গিয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আসার আগে উপকূল অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূল জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। জরুরি পরিস্থিতির জন্য মজুত রাখা হয়েছে খাবার ও ত্রিপল। ৮টি ঘূর্ণিঝড় সেন্টার সক্রিয় করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল। উপকূল এলাকায় কাঁচা বাড়ি থেকে প্রয়োজনে বাসিন্দাদের দ্রুত সেগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁদের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁদের লক্ষ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা শূন্যে নিয়ে যাওয়া, তিনি জানিয়েছেন।
সাইক্লোন ফণীর এক বছর পর এবার আমপানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ওড়িশা। গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, জাজপুর, কটক, খুর্দা ও নয়াগড় থেকে ১০লাখের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে।
আজ বিকেল ৪টের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
আমপান ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উত্তর ওড়িশা। আইএমডি ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যু়ঞ্জয় মহাপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক ও বালাসোরের মত উপকূলবর্তী জেলাগুলির ভয় সব থেকে বেশি। বিশেষ করে আগামীকাল ও পরশু প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি এই সব এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমপান। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার নাগাদ ওই ঘূর্ণিঝড় দিঘার ওপর দিয়ে যাবে। প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা হাওড়া সহ কয়েকটি জেলায়। ঝড় যাতে পাকা ধানে মই দিতে না পারে তার জন্য তত্পর কৃষকরা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, আমতা, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুরে খেতের ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগেই এ বিষয়ে কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছিল। ৪০ শতাংশ জমিতে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ধান কাটা হয়ে গিয়েছে বলে জেলা কৃষি দফতর সূত্রে দাবি।