কলকাতা : ইয়াসের মোকাবিলায় জোরদার তৎপরতা রাজ্য প্রশাসনে। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকেই সার্বিক বিষয়ের তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইয়াসের মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামীকাল বেলা ১২টায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় চরম সতর্কতা। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর কাল ভোরে ৯০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি। এই পরিস্থিতিতে ইয়াসের ভয়াবহতা কী রকম থাকবে তা জানতে আজ প্রথমে আলিপুর আবহাওয়া অফিসে যান রাজ্যপাল। সেখানে পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি দেখান।
এরপর সেখান থেকে সোজা নবান্নে চলে যান রাজ্যপাল। নবান্নে ইয়াস মোকাবিলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখানে কার্যত ঘাঁটি গেড়ে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে সব এলাকায় ইয়াসের জেরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানকার পরপিস্থিতি ক্রমাগত তদারকি করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কন্ট্রোল রুমে ইয়াস মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানতে যান রাজ্যপাল। নবান্নে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা রাজ্যপালকে জানান। উল্লেখ্য, আজ রাত ও কাল কন্ট্রোল রুমেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতির তদারকি করবেন।
এদিকে এর কিছু আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "সমুদ্রে প্লাবন হলেই জল বাড়ে। আজ এবং কাল ভরা পূর্ণিমা। পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জল বেড়ে যাওয়াটা আমাদের কাছে চিন্তার বিষয়। যদিও নানারকম পাম্পিং সিস্টেমে কাজ করা হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম বাড়ি থেকে কাজ করছেন। এছাড়াও তাপস রায়, অতীন ঘোষ, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এঁরা সবাই কাজ করবেন।"