পটনা: সরকারি হাসপাতাল থেকে এবার গায়েব হয়ে গেল মৃত রোগীর চোখ। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টাই কেটেছিল সবে। কিন্তু চোখ দেখতে গিয়ে পেলেন না বাড়ির লোকজন। জানতে চাইলে ইঁদুরে খেয়ে নিয়েছে বলে জবাব দিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। গোটা ঘটনায় আবারও কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। (Nalanda Medical College)


বিহারের পটনায় অবস্থিত নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। শনিবার ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ফান্টুস নামের এক যুবকের। প্রাথমিক ধাক্কা খাটিয়ে বাড়ির লোকজন যখন মৃতদেহ হাতে পান, দেখা যায় মৃতের একটি চোখ গায়েব।  ঘটনাক্রম দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। (Bihar News)


মৃতের চোখ কোথায় গেল, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের জিজ্ঞেস করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। কিন্তু তাতে যে জবাব মেলে, তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। কারণ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীরা জানান, ইঁদুর মৃতের চোখ খুবলে খেয়ে নিয়েছে। স্বভাবতই এমন জবাব পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন।


এর পর হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক থেকে নার্স, কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, যে টেবিলে শুইয়ে রাখা হয়েছিল মৃতদেহ, তার কাছে একটি সার্জিক্যাল ব্লেড পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সেই নিয়ে দীর্ঘ সময় উত্তপ্ত ছিল হাসপাতাল। ভিড় জমে যায়।


এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন মৃত যুবকয ১৫ নভেম্বর অস্ত্রোপচার হয় তাঁর শরীরে। সেই থেকে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি। রাতে ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি বলে আইসিইউ-এর বেডেই রাখা ছিল যুবকের দেহ। সকালে সেখানে পৌঁছে চোখ নেই বলে দেখতে পান পরিবারের লোকজন।


নালন্দা হাসপাতালের সুপার বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তাঁর বক্তব্য, "হতে পারে কেউ চোখ তুলে নিয়েছে. আবার ইঁদুরেও চোখ খুবলে নিয়ে থাকতে পারে। যা-ই হোক না কেন, দোষ বর্তায় আমাদের উপরই। তদন্তের পর পদক্ষেপ করা হবে।" হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।