নয়াদিল্লি: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে লকডাউন কাটিয়ে দেশ এখন আনলকের চতুর্থ পর্যায়ে পা রাখতে চলেছে। কিন্তু লকডাউনের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্র। চূড়ান্ত দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে দিন কাটছে অজস্র পরিবারের। দুবেলা দুমুঠো খাবারও যেখানে স্বপ্নমাত্র।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এল। আগ্রার নাগলা বিধিচন্দ গ্রামের বাসিন্দা এক পাঁচ বছরের মেয়ের প্রাণ অকালেই চলে গেল অনাহার আর সঠিক চিকিত্সার অভাবে। লকডাউনের পর অনাহার তাদের সংসারের নিত্যসঙ্গী। সেই সঙ্গে ডায়রিয়ায় ভুগছিল ছোট্ট সনিয়া। চিকিত্সা করানোর খরচ জোগানো অসম্ভব ছিল। সেই সঙ্গে দিনের পর দিন আধপেটা খেয়ে বা খালি পেটেই দিন কাটত সনিয়া ও তার পরিবারের।
যদিও অনাহার নয়, ডায়রিয়া-জ্বরই সনিয়ার মত্যুর কারণ বলে দাবি করেছে আগ্রার প্রশাসন।  সরকারের তরফে এখন ওই পরিবারকে ১০০ কেজি রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সনিয়ার মা শিলা দেবী দিনমজুরের কাজ করেন। বাবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে কাজ করতে পারেন না।
মৃত শিশুকন্যার মায়ের দাবি, লকডাউনে তাঁর কাজ বন্ধ ছিল। পরিবারের হাতে টাকা ছিল না। প্রতিবেশীদের থেকে চেয়েচিন্তে ১৫ দিনের অন্ন সংস্থান হয়। তারপর প্রায় ৭দিন খাবার জোটেনি তাঁদের। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সনিয়া। চিকিত্সা করাও সম্ভব ছিল না। বিনা চিকিত্সাতেই চোখের সামনে মেয়ে মারা যায়, জানান মা শিলা।
সূত্রের খবর, সনিয়ার পরিবারের কারও রেশন কার্ডও নেই। বড় অঙ্কের বিদ্যুতের বিল না মেটাতে না পারায় কেটে দেওয়া হয় সংযোগও।
সনিয়া মা জানান, তাঁর ৮ বছরের ছেলে নোটবন্দির পর অনাহারে মারা যায়।