নয়াদিল্লি: তুষারধসে (avalanche) মৃতের (death) তালিকা বেড়েই চলেছে উত্তরকাশীতে (Uttarkashi)। শুক্রবার নতুন করে আরও ৭ জনের দেহ পাওয়া যায়। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের দাবি, আজকের পর তুষারধসে মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬। তবে এখনও নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-র (Nehru Institute Of Mountaineering) তিন জন শিক্ষানবিশের হদিশ নেই।
কী পরিস্থিতি?
গত মঙ্গলবার, প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় 'দ্বিতীয় দ্রৌপদী কা দন্ড' শিখরে আছড়ে পড়ে ওই তুষারধস। নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-র ৬১ জন শিক্ষানবিশের একটি দল তখন তাঁদের ক্যাম্পে ফিরছিলেন। বিপর্যয়ের ধাক্কায় ৩৪ জন শিক্ষানবিশ ও তাঁদের ৭ প্রশিক্ষক আটকে পড়েন বলে ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছিল। বিপর্যয়ের মধ্যেই তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় বায়ুসেনা, সেনা ও আইটিবিপির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাই অল্টিটিউট ওয়ারফেয়ার স্কুলের সদস্যরাও এই অভিযানে যোগ দেন। আজ সকাল পর্যন্ত যা হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানায় সংবাদসংস্থা এএনআই। কিন্তু বেলা গড়াতেই সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। চিন্তা রয়েছে নিখোঁজ তিন শিক্ষানবিশকে নিয়েও। তল্লাশি চলছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস:
এদিকে উত্তরাখণ্ডের আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছে, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অর্থাৎ কুমায়ুন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে গাড়োয়াল রেঞ্জে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ থেকে প্রথমে হেলিকপ্টার কাজে নেমেও বন্ধ করে দেয়। আবহাওয়া খুবই খারাপ ছিল এলাকায়। শুক্রবার থেকে ফের উদ্ধারকার্য শুরু হবে বলে জানিয়েছিল উদ্ধারকারী দল। বস্তুত উত্তরাখণ্ডের আবহাওয়া গত বেশ কিছু দিন ধরেই অশনি-সঙ্কেত দিয়ে চলেছে। সেপ্টেম্বরের শেষেই তুমুল বৃষ্টিতে আস্ত পাহাড় ধসে সাময়িক ভাবে আদি কৈলাস মানসরোবর যাত্রার অন্যতম রুট বন্ধ হয়ে যায়। নাজাং তাম্বা গ্রামের কাছে ওই ঘটনার পর থেকে জাতীয় সড়ক বন্ধ। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছিল,ওই বিপর্যয়ের ফলে তীর্থযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দা মিলিয়ে অন্তত ৪০ জন আটকে পড়েন। শুধু জাতীয় সড়ক নয়, পাহাড়-ভঙ্গের জেরে যান চলাচলের অন্তত শ'খানেক গ্রামীণ রাস্তা এবং একাধিক হাইওয়েও বন্ধ।
তবে তুষারধসে এভাবে শিক্ষানবিশ পর্বতারোহীদের আটকে পড়ার ঘটনা আতঙ্ক বাড়িয়েছে অনেকেরই।
আরও পড়ুন:'অনেক শিশু ভেসে যাচ্ছিল, আমার বাচ্চাটার মুখটা মনে পড়ে, আর কিছু না ভেবে ঝাঁপ দিয়েছি'