নয়া দিল্লি: ভোরের আলো তখনও ফোটেনি! চারিদিকে অন্ধকার, কিছুটা কুয়াশাও, বাইরে বেশ ঠান্ডা হাওয়া বইছে। সেই সময় সপ্তাহের শুরুই হল ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে। ভোর ৫.৩৬ মিনিটে কেঁপে উঠল রাজধানী। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪।
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, দিল্লি এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এদিন মাটির ৫ কিলোমিটার নীচে ভূমিকম্পের উৎস। আগরা, আলওয়ার, মথুরা, মোরাদাবাদ, সাহারানপুরেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। এদিকে, ভোরে এই কম্পনের পরেই আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় মানুষ। দিল্লি-এনসিআর-এর বাসিন্দাদের দাবি, কম্পনের সঙ্গে শোনা গিয়েছে জোরাল আওয়াজ। হরিয়ানার বেশ কিছু জায়গায় ভূমিকম্প টের পাওয়া গেছে। গত ২৫ বছর এইভাবে কেঁপে ওঠেনি দিল্লি, এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের।
এদিকে ভূমিকম্পের পরই এক্স হ্যান্ডেলে সতর্কবার্তা পোস্ট নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলকে শান্ত থাকার এবং নিরাপত্তা সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। সম্ভাব্য আফটার শকের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
আরও পড়ুন, 'পেরেক গেঁথে গিয়েছিল মাথায়', ৭ বছরের মেয়ের মৃত্যুতে বাবার হাহাকার, 'ওকে ফিরিয়ে দিন'...
দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) জানিয়েছে, দিল্লিতে ঘনঘন ভূমিকম্প বা কম্পন অনুভূত হওয়ার কারণ রাজধানীর ভৌগলিক অবস্থান। দিল্লি-দেহরাদুন ফল্ট লাইনের খুব কাছেই দিল্লির অবস্থান। দিল্লি-হরিদ্বার ফল্ট এবং দিল্লি-মোরাদাবাদ ফল্ট হল দু'টি প্রধান লাইন গিয়েছে দিল্লির নীচ দিয়ে। এর ফলে দিল্লিতে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
গোটা উত্তর-পশ্চিম ভারত দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন একটি ‘কম্পন অধ্যুষিত’ অঞ্চলে যাকে ভূকম্প বিশেষজ্ঞেরা ‘হটস্পট’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ কি না এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই রিখটার স্কেলে ৪, সাড়ে ৪, ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েই থাকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে