নয়া দিল্লি : রাজাধানীর কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে এবার গণটিকাকরণের রাস্তায় হাঁটছে দিল্লি। ৩০০ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে এই টিকাকরণের কাজ শেষ করতে চায় দিল্লি সরকার। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।


দিল্লিতে বাগে আসছে না করোনা পরিস্থিতি। ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ থেকে বাঁচতে টিকাকরণের রাস্তাই বেছে নিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজধানীতে গণটিকাকরণের জন্য দিনে ৮০-৮৫ হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন। সব মিলিয়ে তিন কোটি ভ্যাকসিন পেলেই সম্পূর্ণ হবে গণটিকাকরণের কাজ। তবে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করলেই এই কাজ করা সম্ভব হবে।


এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''বর্তমানে রাজধানীতে ১০০ ভ্যাকসিনেশেন সেন্টার রয়েছে। কদিনের মধ্যেই আরও ২০০ টিকাকরণের কেন্দ্র তৈরি হয়ে যাবে দিল্লিতে। ২ কোটির বেশি দিল্লিবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে ৩ কোটি টিকার প্রয়োজন। তবেই আগামী তিন মাসে গণটিকাকরণের কাজ সফল হবে।'' 


সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছে দিল্লি। সবাইকে টিকা দিতে আরও ২ কোটি ৬০ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে দিল্লিতে প্রতিদিন ১ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। এই সংখ্যাটাই তিন লক্ষে নিয়ে যেতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই টিকাকরণের সাইট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত দিল্লিবাসীকে টিকা দেওয়ার লক্ষেই এই সাইট বাড়ানো হচ্ছে।


দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ইতিমধ্যেই সচেতন করেছেন মহামারী বিশেষজ্ঞরা। মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে প্রকাশ্যেই এই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আধিকারিকদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। একই আশঙ্কা করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এপ্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''তৃতীয় কোভিডের ঢেউ আসার আগেই দিল্লিবাসীকে সুরক্ষিত করতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ, তারা যেন ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য মানুষের জন্য পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ করেন।''


রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, অক্সিজেনের অভাব দূর করতে বেশ কয়েকটা সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছে কেজরিওয়ালের সরকার। সম্প্রতি হোম আইসোলেশেন থাকা ব্যক্তিদের জন্য অনলাইনে অক্সিজেন বুকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে দিল্লি সরকার। জেলায় জেলায় দিল্লি পরিবহণের বাস ডিপোয় রাখা হয়েছে ২০টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার।