নয়াদিল্লি: শীত আসতে এখনও ঢের বাকি, তার আগে ফের ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী দিল্লি। বুধবার দিল্লির বাতাসের গুণমান একধাক্কায় নেমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দিল্লির বাতাস 'অত্যন্ত ক্ষতিকর' হিসেবে গন্য হচ্ছে। ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে চারিদিক, কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা। এমন পরিস্থিতি ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও, নামতে পারেনি বেশ কিছু বিমান। মাঝ আকাশে মুখ ঘুরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিমানগুলিকে। সেখানে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের চেয়েও কমে যায় বলে জানা গিয়েছে। (Delhi Smog Situation)
ভারতীয় মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৫টা বেজে ৩০ মিনিট থেকে ঘন কুয়াশার চাদর ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলতে শুরু করে দিল্লিকে। সেই থেকে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সূচকে দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৩১৬। সেখান থেকে বুধবার সকালে বাতাসের গুণমান নেমে এসেছে ৩৭০-এ। সূচকে দিল্লির একাধিক এলাকায় বাতাসের গুণমান ৩০০-র বেশি। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। (Delhi Pollution)
এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আয়া নগর, আনন্দ বিহার, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাস এলাকায়র। সেখানে সূচক ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে এদিন সকালে। আনন্দ বিহারে ৪১৩, জাহাঙ্গিরপুরীতে ৩৮৯, ITO-তে ৩৭৮, ইন্দিরা গাঁধী বিমানবন্দর এলাকায় ৩৬৮, আয়া নগর ৪২৮। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মতে, দিল্লির বাতাস এই মুহূর্তে প্রচণ্ড অস্বাস্থ্যকর, ক্ষতিকর।
গত ২৪ ঘণ্টার যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দিল্লির বাতাসের গুণমানের সূচ ছিল ৩৬১-তে। আজ তার থেকেও অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির। বেলা ১০টার সময়ও সূচক ছিল ৩৭০-এ। সফদরজং এলাকায় দৃশ্যমানতার সামান্য উন্নতি হয়েছে, ৪০০ মিটার। কিন্তু বহু জায়গায় সামান্য দূরের জিনিও দেখা যাচ্ছে না। পড়শি রাজ্য হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে দৃশ্যমানতা সবচেয়ে খারাপ।
এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের আগে মুখ ঘুরিয়ে একাধিক বিমানকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। ছ'টি বিমান জয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একটি অবতরণ করে লখনউয়ে। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, দৃশ্যমানতা উন্নতির চেষ্টা চলছে। সফদরজং বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা যেখানে ২০০ মিটার ছিল, পালম বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা একেবারে শূন্যে নেমে যায় সকাল ৮টা বেজে ৩০ মিনিটে। ধোঁয়া এবং ধূলিকণা মিশেই এমন পরিস্থিতি। মৌসম বিভাগ জানিয়েছে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এমনই পরিস্থিতি বজায় থাকবে রাজধানীতে। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি বেশি।