নয়াদিল্লি:  গ্রেফতার আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (USA President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারির মুখে পড়তে হল। আদালতে আত্মসমর্পণের পর, ট্রাম্পই আমেরিকার প্রথম প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, যাকে নিয়ম মেনে গ্রেফতার করা হল। ২০২৪-এ রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য নমিনি ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের গ্রেফতারি আমেরিকার রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তাঁর গ্রেফতারির জেরে যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে, তাই আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা। পুরো নিউইয়র্ককে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।


ট্রাম্প ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশাল সংখ্যক জমায়েত শুরু হয়েছে। তাঁর সমর্থক, বিরোধীরা, মিডিয়ায় কার্যত ছেয়ে গেছে । ট্রাম্প-বিরোধীরা ইতিমধ্যেই রাস্তায় ব্যানার নিয়ে নেমে পড়েছেন। তাতে লেখা, "সব সময় মিথ্যা কথা বলেন ট্রাম্প।" অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থকরাও পাল্টা রাস্তায় ধ্বনি তুলতে শুরু করেছেন, "ট্রাম্প অথবা মৃত্যু।" এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তরফেও সন্তর্পণে পা ফেলা হচ্ছে। কারণ, এই মুহূর্তে কোনও বেফাঁস মন্তব্য বা পদক্ষেপ ট্রাম্প সম্পর্থকদের হিংসাত্মক করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা।


কী অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ?


পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়লসকে চুপ করাতে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে ট্রাম্প ওই পর্ন তারকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ, এনিয়ে যাতে ওই পর্ন তারকা মুখ না খোলেন সেজন্য ২০১৬ সালে আমেরিকায় নির্বাচনের আগে তাঁকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের জয়লাভের আগের এই ঘটনা ঘিরেই তদন্ত। ট্রাম্পের পূর্বতন আইনজীবী তথা সঙ্গী মাইকেল কোহেন যিনি এখন ট্রাম্প-বিরোধী হয়ে উঠেছেন, তাঁর বক্তব্য, ড্যানিলসকে চুপ থাকার জন্য ওই টাকার বন্দোবস্ত তিনিই করেছিলেন।


যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্পের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী মেলানিয়া। যিনি সম্প্রতি আবার মা হয়েছেন। তিনি ওই পর্ন তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। 


এর পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। যা আইনিভাবে আরও ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে ট্রাম্পকে।  এর মধ্যে রয়েছে জর্জিয়ায় তাঁর ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়কে উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগ, তার পরের বছর ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে অশান্তির সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য জড়িত থাকা। 


আরও পড়ুন: কীভাবে আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা সম্ভব ? ভারতের সাহায্য চাইলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট