ভুবনেশ্বর : অগ্নি সিরিজের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের। সোমবার ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় অগ্নি পি-র সফল উৎক্ষেপণ হয়। এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপে বেলা ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন।


প্রসঙ্গত, অগ্নির নতুন শ্রেণির প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র এই অগ্নি পি। অগ্নি ৩-র থেকে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০ শতাংশ কম। এটা রেল এবং রাস্তা থেকেও নিক্ষেপ করা যাবে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে স্টোর করে রাখা যাবে। প্রয়োজনমতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটি পরিবহণ করা যাবে। 


এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১০০০-২০০০ কিলোমিটার। ইন্দো-প্যাসিফিকে শত্রুঘাঁটি লক্ষ্য করে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। গত শুক্রবারই, দেশীয় পিনাকা রকেটের এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সানের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ওড়িশার চাঁদিপুরার ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এর উৎক্ষেপণ হয়। 


উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোনও দেশ থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংসকারী অ্যান্টি-ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে চিন। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই পরীক্ষাকে সফল বলে আখ্যা দিয়েছে। একইসঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে যে, কোনও দেশকে লক্ষ্য করে এই পরীক্ষা চালানো হয়নি। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই এই অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরি করা হয়েছে।


চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, দেশের সীমান্তের মধ্যেই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।


এই অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষার ব্যাপারে প্রযুক্তিগতভাবে কোনও তথ্য জানায়নি চিন। এই অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করা হয় উত্তর চিনের তাইইয়ুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে। চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একদিকে যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলছে যে, এর পরীক্ষার লক্ষ্য বিশেষ কোনও দেশ নয় বা কোনও বিশেষ দেশের দিকে তাকিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়নি, সেখানে তখন চিনের সেনা পিএলএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করা হয়েছে, তা চিনের দিকে ধেয়ে আসা পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে পারে।