হায়দরাবাদ: ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে নয়া অস্ত্র। তাদের হাতে এসেছে এক বিশেষ ড্রোন। মাঝারি উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারে এই ড্রোন। পুরোটাই তৈরি হয়েছে ভারতে। তৈরি করেছে আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস (Adani Defence and Aerospace)। মূলত যুদ্ধ ও নজরদারি জন্য তৈরি হয়েছে এই অত্যাধুনিক ড্রোন। নাম Drishti 10 Starliner
নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেছেন যে এই ড্রোনটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শক্তিশালী প্রমাণিত হবে, যেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হচ্ছে।
Drishti 10 Starliner ড্রোন তৈরি করেছে আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস তার হায়দরাবাদের ওয়ার্কশপে। এই ড্রোনটি প্রস্তুত করতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা 'এলবিট সিস্টেম'-এর মাধ্যমে প্রযুক্তি স্থানান্তরের সহায়তাও নেওয়া হয়েছে। Drishti ড্রোন হল প্রথম বড় অস্ত্র, যা আদানি ডিফেন্স ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে দিল। এই ড্রোনটি এলবিট সিস্টেমের হার্মিস 900 স্টারলাইনার ড্রোনের একটি রূপ।
কী কী রয়েছে Drishti 10 Starliner-এ?
Drishti 10 Starliner- ড্রোন সব ধরনের আবহাওয়ায় চালানো যায়।
আদানি ডিফেন্সের দেওয়া এই ড্রোন ৭০ শতাংশ দেশীয়।
একটানা ৩৬ ঘণ্টা উড়তে পারে এই ড্রোন।
এই ড্রোনটি ৪৫০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহন করতে পারে এবং যে কোনও জায়গায় সরবরাহ করা যেতে পারে।
ড্রোনটিতে তিনটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে যা পেলোডের জন্য। প্রয়োজনে এতে অস্ত্রও লাগানো যাবে।
৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে Drishti 10 Starliner
এই ড্রোনটি একটি উন্নত গোয়েন্দা, নজরদারি এবং রিকনাইসেন্স (ISR) প্ল্যাটফর্ম।
এই ড্রোনের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন অনেক কম। এই কারণে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
ড্রোনটি একটি অত্যাধুনিক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এবং লাইন-অফ-সাইট (LOS) ডেটা লিঙ্ক, যা নিরাপদ ডেটা স্থানান্তরের করবে।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল হরি কুমার হায়দরাবাদে ড্রোন উৎক্ষেপণ ও ডেলিভারি নেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন। আপাতত দুটি এই রকম ড্রোন নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীকে দেওয়া হবে। বাকি ড্রোনগুলো আগামী মাসে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১০০টি ড্রোন প্রয়োজন।
যতদিন যাচ্ছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্ব তত বাড়ছে। ভারত মহাসাগর এলাকায় নজরদারি আরও কড়া করার প্রয়োজন হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশ নৌবাহিনীকে নজরদারি করতে বাধ্য করেছে। ভারত মহাসাগরে রুট ব্যবসায়িক কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমুদ্রপথে কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখার জন্য় দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলছে ভারত ও চিনের মধ্যে।
সম্প্রতি আরব সাগরেও উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য হয়েছে জাহাজ। জলদস্যুরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করেছে। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে নৌবাহিনী সমুদ্রে আরও ভাল নজরদারি চালাতে চায়, সেই কাজে সাহায্য করবে এই ড্রোনগুলি।
আরও পড়ুন: প্যান কার্ডে অফলাইনে নাম পরিবর্তন করতে চান, কী করতে হবে জানেন ?