নয়া দিল্লি: কাগজ-কলম নিয়ে ছোটাছুটির দিন এবার শেষ হতে চলেছে। গোটা দেশে আর কোথাও পাওয়া যাবে না একটু কাগজও। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হতে চলেছে। এই দেশ এবার ১০০ শতাংশ কাগজহীন হতে চলেছে। বিশ্বে দুবাইই প্রথম সরকার যেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। 


দুবাইয়ের প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ঘোষণা করেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ১.৩ বিলিয়ন দিরহাম (USD ৩৫০ মিলিয়ন) টাকা সাশ্রয় হবে দুবাই সরকারের। দুবাই সরকারের সমস্ত অভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক লেনদেন এবং বাকি কাজ এখন ১০০ শতাংশ ডিজিটালভাবে করা হবে। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল সরকারি পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম চালু হয়ে গেছে।                             



শেখ হামদান শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই লক্ষ্য অর্জনটি জীবনের সমস্ত দিককে ডিজিটালাইজ করার জন্য। দুবাই একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তের অর্থ নয়া উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করা।" তাঁর কথায়, "এই কৃতিত্বর ফলে বিশ্বে ডিজিটাল রাজধানী হিসাবে দুবাইয়ের মর্যাদা আরও শক্তিশালী হবে। গ্রাহকদের যাতে সুবিধা হয় এমন সরকারী ক্রিয়াকলাপ এবং পরিষেবাগুলি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল হিসাবে দুবাইকে দেখা হবে আগামী দিনে।"         



ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপ এবং কানাডা তাঁদের দেশের সরকারী কার্যক্রমকে ডিজিটাইজ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। যদিও সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে না করলে বড়সড় সাইবার আক্রমণের মুখোমুখি পড়তে হতে পারে। দুবাইয়ের প্রিন্স বলেছেন যে সরকার আগামী পাঁচ দশকে দুবাইতে ডিজিটাল জীবন তৈরি এবং উন্নত করার জন্য উন্নত কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে।


দুবাই পেপারলেস কৌশলটি টানা পাঁচটি ধাপে বাস্তবায়িত হয়েছিল। দুবাইয়ের ডিজিটাল যাত্রার মাধ্যমে এই শহরকে একটি সমৃদ্ধশালী স্মার্ট সিটি করে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এমনটাই খবর।