নয়াদিল্লি: ছিটেফোঁটা বৃষ্টির জন্য কত কসরতই না করতে হয় তাদের। মেঘে রাসায়নিক প্রয়োগ করে কৃত্রিম উপায়ে নামাতে হয় বৃষ্টি। সেই দুবাই এই মুহূর্তে বন্যায় ভাসছে। ভারী বৃষ্টিতে তথৈবচ অবস্থা মরুশহরের। তবে বিস্ময় শুধু সেখানেই নয়, ঝড়-বৃষ্টিতে সবুজ হয়ে উঠল দুবাইয়ের আকাশ, ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। (Dubai Sky Turns Green) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই দৃশ্য।


গত দু’দিনে আশ্চর্য পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। পশ্চিম এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র বলে পরিচিত, দেশের রাজধানী দুবাইয়ে এর ব্যাপক প্রভাব দেখা গিয়েছে। গত ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে সেখানে, যাকে ‘ঐতিহাসিক আবহ পরিণতি’ বলে উল্লেখ করছেন আবহবিদরা। (Dubai Floods)


বানভাসি দুবাইয়ের রাস্তায় খেলনার মতো ভাসতে দেখা গিয়েছে নামী-দামি সংস্থার গাড়িকে। নৌকা, ভেলায় চেপে গন্তব্যে পৌঁছেছেন মানুষজন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবাও। গগনচুম্বী আবাসন থেকে উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে আসবাবপত্র। সেই আবহেই ঝঞ্ঝার সময় দুবাইয়ের আকাশের রূপ সামনে এল।



সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে, যার সত্যতা যদিও যাচাই করে দেখেনি এবিপি আনন্দ। তবে ওই ভিডিও-য় দুবাইয়ের আকাশকে সবুজবর্ণ ধারণ করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুবাইয়ের আকাশকে সবুজবর্ণ ধারণ করতে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার বিপদের ইঙ্গিতও দেখছেন এর মধ্যে। আরও নানা তত্ত্ব সামনে উঠে আসছে নেট দুনিয়ায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি সামনে এসেছে, তাতে ধূসর আকাশকে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সবুজবর্ণ ধারণ করতে দেখা গিয়েছে। আকাশ সবুজবর্ণ ধারণ করার অর্থ টর্নেডোর ঝুঁকি রয়েছে বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমেরিকায় টর্নেডোর আগে আকাশ এমন রূপ ধারণ করে বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে এক আবহবিদ বলেন, “মেঘের মধ্যে যে জল এবং বরফের কণা রয়েছে, আলোর প্রসারণের ফলে তা থেকে নীল আলো ঠিকরে বেরোয়। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের বিক্ষিপ্ত লাল আলো যখন ওই কণাগুলিকে আলোকিত করে, তা সবুজবর্ণ ধারণ করে।” এর সঙ্গে টর্নেডোর কোনও সংযোগ নেই বলে মত আবহবিদদের।