নয়াদিল্লি: পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণই সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পাবে। পরীক্ষা বাতিল প্রসঙ্গে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল, বুধবার এক নেটিজেন লেখেন, বর্তমান সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। পড়ুয়াদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত। এরপরই ওই  ট্যুইট রিট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণই আমাদের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


এদিন বহু নেটিজেন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বাহবা দিয়েছেন। এক নেটিজেনের ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, পড়ুয়াদের জন্য অত্যন্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে এই বছর। বেড়ে ওঠার আনন্দ থেকে কার্যত বঞ্চিত। বাড়িতেই বন্দি তারা। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ কম। এই সময় এটা পড়ুয়াদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকদের অবিরত কর্তব্য পালনকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, শিক্ষককূল গত বছর থেকে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছি। নিউ নর্মালেও যেন পঠনপাঠন জারি থাকে তা নিশ্চিত করতে আবেদন জানাচ্ছি।


করোনা আবহে  বাতিল হয়ে গিয়েছে সিবিএসই-র দ্বাদশের পরীক্ষা। একই পথে হেঁটে দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশেনর তথা সিআইএসসিই। আগেই দশমের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল দুই বোর্ডের তরফে। কিন্তু তখন প্রাথমিকভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল দ্বাদশের পরীক্ষা। দেশের কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে দ্বাদশের পরীক্ষাও বাতিল করারই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়  কেন্দ্রের তরফে।


চলতি সপ্তাহে  প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর জানিয়ে দেওয়া হয়, এবারের সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি যে প্রসঙ্গে জানান, 'পড়ুয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে যে উদ্বেগের পরিস্থিতি চলছে তা শেষ হওয়া প্রয়োজন। মানসিকভাবে এরকম কঠিন সময়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষার বসার জন্য চাপ দেওয়া ঠিক নয়। প্রত্যেকেরই বিষয়টা সেভাবে দেখা উচিত।' মাঝে অবশ্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালের সঙ্গে বৈঠকে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তরফেই অবস্থার উন্নতিতে দ্বাদশের পরীক্ষাগুলো করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছিল।