শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প। কাঁপল উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। সকালে ৭.৫৪ নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষজন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা সহ বিভিন্ন জেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে মুর্শিদাবাদেও। এদিকে, অসমেও ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কম্পনের উৎসস্থল অসম। কয়েক সেকেন্ড কম্পন স্থায়ী হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভূমিকম্পের উত্সস্থল অসমের শোণিতপুর, ভূপৃষ্ঠের ২১ দশমিক ৪ কিলোমিটার নীচে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। অসমে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে খবর। দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা আরও বেশি বলে খবর। সকাল ৭.৫৪ থেকে ৭.৫৮ টার মধ্যে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
তবে উত্তরবঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। এরফলে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল বলেছেন, অসমে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। আমি সবাইকে সতর্ক থাকার আর্জি জানাচ্ছি। সমস্ত জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কিছু ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভূমিকম্প নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি। অসমের মানুষের সুরক্ষা কামনা করছি।
ভূমিকম্পজনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রথম কম্পন তো বটেই, পরবর্তী একাধিক কম্পনে কেঁপেছে অসম। মেঘালয় ও উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন অংশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।শক্তিশালী কম্পনের পর একাধিক পরবর্তী কম্পন হয়। এরমধ্যে একটি ছিল ৭.৫৫ টা নাগাদ এবং এর মিনিট খানেক পর আরও একবার।এই ভূকম্পে ক্ষয়ক্ষতির অনেক ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। নগাওঁয়ে একটি বহুতল পাশের বহুতলে হেলে পড়েছে। শোনিতপুরে রাস্তায় ফাটলের ছবিও সামনে এসেছে।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৫.৪ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয়েছিল।