নয়াদিল্লি: পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সময়ের আগে নির্বাচন ঘোষণা করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron Calls For Snap Election)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভোটে ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে মধ্যপন্থীদের 'অসমীকরণ' স্পষ্ট হওয়ার জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাতে আগামী ৩০ জুন ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষে ভোট হওয়ার কথা। আর ৭ জুলাই হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট। জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় এমনই জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট।


বিশদ...
রবিবার মাক্রঁ জানান, যাদের হাতে ইউরোপ রক্ষার দায়ভার রয়েছে, তাদের জন্য সাম্প্রতিক ইইউ নির্বাচনের ফলাফল মোটেও ভাল নয়। বক্তৃতায় মাক্রঁ মনে করান, ইইউ-র নির্বাচনে অতি দক্ষিণপন্থী দলগুলি ফ্রান্সের ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, 'গোটা মহাদেশের সর্বত্র দক্ষিণপন্থীদের রমরমা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি হাত-পা গুটিয়ে থাকতে পারি না। তাই আপনাদের হাতে বেছে নেওয়ার ক্ষমতা তুলে দেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' এই সিদ্ধান্ত যে সহজ ছিল না, সে কথাও জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, 'এই সিদ্ধান্ত সত্যি কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত আশা-ভরসারও। প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের উপর এবং তামাম ফ্রান্সের জন্য আশা-ভরসার সিদ্ধান্ত এটি। নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ফ্রান্স কী চাইছে, তা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এটি।' এর আগে, গত বৃহস্পতিবারও ইইউ-কে সতর্কবাণী শুনিয়েছিলেন মাক্রঁ। ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে অতি-দক্ষিণপন্থীদের দাপট যে বড়সড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে  পারে, এমনই মত তাঁর। প্রসঙ্গত, এক্সিট পোলে দেখা গিয়েছে, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়াতেও দাপট বাড়ছে দক্ষিণপন্থীদের। এক্সিট পোলের যা পূর্বাভাস, তাতে ফ্রান্সে অতি-দক্ষিণপন্থী দল প্রায় ৩২ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের 'দ্য রেনেসাঁ পার্টি'-র সম্ভাব্য প্রাপ্ত ভোটের থেকে যা কিনা দ্বিগুণ। এমন পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা মাক্রঁর।


প্রেক্ষাপট...
২০২৭ সালে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবার সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না এমান্যুয়েল মাক্রঁ। সেই সুযোগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার মরিয়া চেষ্টা করবেন National Rally (RN)-র অন্যতম পরিচিত নাম, মারিন লঁ পঁ। সেই লক্ষ্যে এখন থেকে প্রভাব বিস্তারের সব রকম উদ্যোগ নিচ্ছে দক্ষিণপন্থী এই দল। সব মিলিয়ে ইইউ-র ভোটে দক্ষিণপন্থী দলগুলির 'রমরমা' যে মাক্রঁর কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াতে পারে,  সেই রকম জল্পনা চলছিল। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে।


 


আরও পড়ুন:অজগরের পেট কাটতেই উদ্ধার মহিলার আস্ত দেহ, চাঞ্চল্য ইন্দোনেশিয়ায়