কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকেই সবজির বাজারে আগুনে দাম। এই পরিস্থিতিতে মানিকতলা বাজারে অভিযান চালালেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। পাইকারি ও খুচরো বাজারের দামের পার্থক্য কেন হচ্ছে, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তাঁরা। ক্রেতরা বলছেন, জিনিসপত্রের   দাম ভীষণ আগুন, সংসার চালাব কী করে? আয়ের থেকে ব্যয় তো বেশি হচ্ছে।


সারা দেশ জুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট চলছে। হাজার হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণও গিয়েছে অনেক আক্রান্তর। করোনাভাইরাস রুখতে জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। এরফলে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। হারিয়েছেন রুটিরুজির সংস্থান। এর ওপর জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বাজারে  ভোজ্য তেল থেকে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। নিত্য প্রয়োজনের সামগ্রীটুকু কিনতেও নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।


মানিকতলা বাজারে এক সপ্তাহ আগেও পটলের কেজি ছিল ৩০ টাকা, এখন ৪০-৫০ টাকা।পেঁপের দামও সাত দিনের মধ্যে বেড়ে কেজি পিছু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।পেঁয়াজের কেজি এক সপ্তাহে ২৫ থেকে পৌঁছে গেছে ৩৫-৪০ টাকায়।


বিক্রেতাদের মতে, ইয়াসের ধাক্কায় চাষের ক্ষতি হওয়ায় কাঁচা আনাজের দাম হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে পাইকারি ও খুচরো বাজারে দামের কতটা তফাত হচ্ছে তা জানতে বুধবার মানিকতলা বাজারে অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।  তাঁরা জিনিসপত্রর দাম খতিয়ে দেখেন। তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেন, পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো দাম কতটা বেড়েছে।


ইবি-র এক আধিকারিক বলেছেন,দাম সামান্য একটু বেড়েছে, আনার খরচ বেড়েছে, তাই বেশি দাম পেঁয়াজের, ঝড়ের প্রভাব কিনা বলতে পারব না।ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম বাড়ার পরপরই অভিযান চলে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বদলায় না।


উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোনের পর মাছের দামও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।ইয়াসের পূর্বাভাসে সমুদ্রে যাননি মৎস্যজীবীরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেও ধাক্কা খেয়েছে ওড়িশা, দিঘার মাছ ব্যবসা। ফলে সামুদ্রিক মাছের আকাল দেখা দিয়েছে হাওড়ার পাইকারি বাজারে। স্টোরের মাছ বিকোচ্ছে আকাশছোঁয়া দামে। এর পাশাপাশি ভেড়ির মাছের যোগানেও টান পড়েছে।