নয়াদিল্লি: অবসর নেওয়ার পর যে স্বস্তিতে থাকবেন, তার জো নেই। আবার কমল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-এ রাখা সঞ্চয়ের ওপর সুদের হার। তা চলতি অর্থবর্ষে ২০১৯-২০ তে কমে হল সাড়ে আট শতাংশ। অসংখ্য ইপিএফের আওতায় পড়া মানুষকে দুঃসংবাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন। ইপিএফও-র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টির এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইপিএফের আওতাভুক্ত প্রায় ৬ কোটি সদস্যকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৮.৬৫ শতাংশ সুদ দিয়েছিল ইপিএফও। তা কমল ১৫ শতাংশ।
এখন এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত, সায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রককে। যেহেতু ভারত সরকার গ্যারান্টার, অতএব ইপিএফের সুদের হারের প্রস্তাবে সম্মতি লাগবে অর্থমন্ত্রকের যাতে কোনও অর্থবর্ষে ইপিএফও-তে ঘাটতির দায় না থাকে।
প্রসঙ্গত, ইপিএফের সুদের হারও যাতে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) ও পোস্ট অফিসের সঞ্চয় প্রকল্পগুলির মতো সরকার পরিচালিত অন্য ক্ষুদ্র সেভিংস স্কিমের সুদের সমান করা যায়, সেজন্য শ্রমমন্ত্রককে অনেকদিন ধরেই বলছে অর্থমন্ত্রক। অবশেষে তা কিছুটা মানল গাঙ্গোয়ারের মন্ত্রক।
২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ইপিএফও সুদ দিয়েছিল যথাক্রমে ৮.৬৫ ও ৮.৫৫ শতাংশ হারে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এই হার ছিল একটু বেশি-৮.৮ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। ২০১৪-১৫-তেও তা একই ছিল। ২০১২-১৩-তে ছিল ৮.৫০ শতাংশ।