কলকাতা: চিন করোনাভাইরাস সম্পর্কে ক্রমাগত মিথ্যে তথ্য দিয়ে চলেছে। এমনকী ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যেও প্রপাগান্ডা চালিয়েছে তারা। অভিযোগ করল বেলজিয়াম। ইইউ ঠিক করেছে, এ ব্যাপারে পরিষ্কার প্ল্যান তৈরি করে এই মিথ্যে তথ্য রোখার পথে হাঁটবে তারা।


শুধু চিন নয়, ইইউ একই অভিযোগ করেছে রাশিয়া সম্পর্কেও। তারা সব ইইউ সদস্য দেশ, তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও অবশিষ্ট বিশ্বেও করোনা নিয়ে মিথ্যে তথ্যজাল বিস্তার করেছে বলে তাদের অভিযোগ। রাশিয়ার ব্যাপারে এর আগে বহুবার অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এই প্রথম চিন সম্পর্কেও তারা একই অভিযোগ আনল।

এপ্রিলে, করোনা যখন ইউরোপে চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন ফ্রান্সের চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইট দাবি করে, সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলে রেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এক চিনা কূটনীতিককে নাম না করে উদ্ধৃত করে তারা। ওই কূটনীতিক আরও দাবি করেন, ৮০ জন ফরাসি আইনপ্রণেতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সম্পর্কে জাত তুলে গালিগালাজ করেছেন। ফরাসি রাজনীতিকরা এই ওয়েবসাইটের ‘খবরে’ অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন। ভেরা জারোভা নামে একটি ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাঁদের গণতন্ত্রকে খাটো করে দেখাতে বিপুল মিথ্যে প্রচার চলছে। যেমন বলা হচ্ছে, ভূতপূর্ব সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা রাষ্ট্রগুলিতে গোপন মার্কিন বায়োলজিক্যাল ল্যাব চলছে। ক্রেমলিনের পক্ষে থাকা সংবাদপত্র ও চিনা কাগজ, তাদের আধিকারিক- সবাই প্রচার করে চলেছেন এ সব ভুয়ো তথ্য।

এই সব মিথ্যে প্রচার রুখতে ইউ-কে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

বিদেশ নীতি থেকে নিরাপত্তা, অর্থনীতি- সবেতেই চিনা প্রচার রুখতে হিমসিম খাচ্ছে ইইউ।  ২০১৯-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে চিনতে সিস্টেমেটিক রাইভাল বলে উল্লেখ করে তারা।  তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা রোখার যে সব ‘উপায়’ বাতলাচ্ছেন, তাতেও সন্তুষ্ট নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।  ট্রাম্পের নাম না করে তারা বলেছে, করোনা সারাতে শরীরে ব্লিচ ইঞ্জেকশন দেওয়ার মত যে সব পরামর্শ তিনি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে ব্লিচ সংক্রান্ত বিষক্রিয়ার ঘটনা ১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে বেলজিয়ামের পয়জন কন্ট্রোল সেন্টারের রিপোর্ট উদ্ধৃত করেছে তারা।