নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব প্রয়াত (Sharad yadav Demise)। ৭৫ বছর বয়সে শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ট্যুইট করে জানালেন মেয়ে সুভাষিণী যাদব। বিহারের মধেপুরা থেকে চার বারের সাংসদ নির্বাচিত হন শরদ। এক সময় সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন (Sharad Yadav)।
বাবার মৃত্যুর কথা ট্যুইট করে জানালেন মেয়ে সুভাষিণী যাদব
১৯৪৭ সালের ১ জুলাই মধ্যপ্রদেশের বাবাই গ্রামে জন্ম শরদের। জবলপুর রবার্টসন কলেজ এবং গভর্নমেন্ট সায়েন্স কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা। জবলপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিও নেন। কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই পরিচয় দিতেন নিজের।
তবে জন্মভূমি মধ্যপ্রদেশ হলেও, শরদের কর্মভূমি ছিল বিহার। তাঁর মেয়ে সুভাষিণী রাজা রাও ২০২০-র বিহার নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দেন। শরদের ছেলে শান্তনু বুন্দেলা ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে পড়াশোনা করেন।
১৯৭৪ সালে প্রথম বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন শরদ। জবলপুর থেকে জয়লাভ করেন তিনি উপনির্বাচনে। সেই সময় জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তরুণ-তরুণীরা। শরদকে রাজনীতির জন্য বেছে নেন জয়প্রকাশই। ১৯৭৭ সালে ফের জবলপুর থেকে জয়ী হন শরদ।
আরও পড়ুন: MV Ganga Vilas Cruise: বারাণসী-কলকাতা ছুঁয়ে বাংলাদেশ হয়ে অসম, 'বিশ্বের বৃহত্তম নদী-প্রমোদতরী'
১৯৭৯ সালে জনতা পার্টি ভেঙে গেলে চরণ সিংহের শিবিরে চলে যান শরদ। ১৯৮১ সালে অমেঠী থেকে জিতে রাজীব গান্ধী লোকসভায় প্রবেশ করলে, লোকদলের টিকিটে প্রার্থী হওয়া শরদকে পরাজিত করেন তিনি। এর পর ১৯৮৪ সালে বদায়ুঁ থেকে লোকদলের পরাজিত হন লোকসভা নির্বাচনে। তবে ১৯৮৯ সালে জনতা দলের প্রার্থী হিসেবে সেখানেই বিজয়ী হন।
তার পর থেকে মধেপুরা থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুরু করেন শরদ। ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৯ সালে ওই আসন থেকে জয়ী হন। ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে তাঁকে পরাজিত করেন লালুপ্রসাদ যাদব। পরে লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের টিকিটেও ভোটে দাঁড়ান ওই কেন্দ্রে।
কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতেন নিজের
বিজেপি-র হাত ধরলে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় শরদের। তার পর ২০১৮ সালে নিজের দল লোকতান্ত্রিক জনতা দল গঠন করেন শরদ। অল ইন্ডিয়া ব্যাওকওয়ার্ড (SC/ST/OBC) অ্যান্ড মাইনরিটি কমিউনিটিজ এমপ্লয়িজ ফেডারেশনেরও প্রতিষ্ঠাতা শরদ।