মন্তেশ্বর: চক্রান্ত করেছেন স্বপন দেবনাথ। তাই বিজেপিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। দল বদল করেই আক্রমণাত্মক মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা।


শনিবারই অমিত শাহ-র সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা। বরাবরই বলে শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত মন্তেশ্বরের বিধায়ক। দলত্যাগের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন স্বপন দেবনাথ।

সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী সৈকত পাঁজা বলেন, দল টিকিট দিয়েছিল, নির্বাচনে লড়াই করে আমি নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম ৮-৯ মাস ঠিকঠাকই চলছিল। তারপর একটার পর একটা চক্রান্ত করে আমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে ওরা। তোলাবাজ, যাদের মুখে দলের নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ হয় না, তাঁদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছি। ওদের চক্রান্তে আমি দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। যা যা চক্রান্ত হয়েছে, সবটাই হয়েছে স্বপন দেবনাথের নির্দেশে।

পাল্টা জবাব দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ও যা খুশি বলে বলুক, মানুষ জবাব দেবে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আজিজুল হক বলেন, শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, মাঠে নেমে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাঠে নামলেই বোঝা যাবে, কে শিক্ষিত আর কে অশিক্ষিত।

২০১৬-র বিধানসভা ভোটে মন্তেশ্বরে মাত্র ৭০৬ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সজল পাঁজা। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে সৈকতকে প্রার্থী করে তৃণমূল। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১২৭ ভোট। সৈকতের অভিযোগ, এত ব্যবধানে জয়ের পরও দলে যথাযোগ্য মর্যাদা পাননি। অন্যদিকে, গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৬ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূলই।

এদিকে তৃণমূলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এভাবে মুখ খোলার পরই, রবিবার মন্তেশ্বরের কুসুম গ্রামে সৈকত পাঁজার অফিস থেকে তাঁর ছবি ও কাগজপত্র সরিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল বিধায়কের দলবদলের পর আগামী নির্বাচনে সব হিসেব উল্টে যাবে বলে দাবি বিজেপির। পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি সহ সভাপতি  অনিল দেবনাথ বলেন,  তৃণমূলে ভাল কেউ থাকবে না, তাই সৈকত চলে এসেছে। মন্তেশ্বর থেকে বিজেপিই জিতবে।