কলকাতা:  ভোটের মধ্যেই তৃণমূল ছাড়লেন রাজ্যের  প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস।তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে ইমেল করে জানালেন দলত্যাগের সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, কিছুদিন ধরে সিএএ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান ছিল তাঁর।তার জেরেই কি দলত্যাগ উপেন বিশ্বাসের, উঠছে প্রশ্ন। তবে উপেন বিশ্বাস নিজে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।

  সিবিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত এই আধিকারিক ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা আসন থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন।


২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টকে সরকারকে হঠাতে সৈনিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম উপেন বিশ্বাস।  ২০০২ সালে সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। ২০১১-র ভোটে তৃণমূল জয়ী হওয়ার পর উপেন বিশ্বাস মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র ইমেল মারফৎ দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী ও উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে পাঠিয়ে দিয়েছেন।


বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ও জগন্নাথ মিশ্রর বিরুদ্ধে ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তভার পাওয়ার পর সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন উপেন বিশ্বাস।  ২০১১-র বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ভোটে জয়ের পর তাঁকে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যান তিনি।


এরমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ভিন্ন অবস্থান সামনে এসেছিল। দল এই আইনের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে সিএএ-র ভারতে থাকার আবশ্যিক সময় পাঁচ বছর সংক্রান্ত ধারাটি সংশোধনের আর্জি জানান। এতেই দলের সঙ্গে তাঁর অবস্থানের ফারাক সামনে এসেছিল।


তাঁর দল ছাড়া সম্পর্কে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে উপেন বিশ্বাস নিজে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


 তবে সিএএ নিয়ে দলের সঙ্গে ভিন্ন মতের জেরেই তিনি তৃণমূল ছাড়লেন কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।