(Source: ECI | ABP NEWS)
Uttar Pradesh News: মুসলিম মেয়ে আনতে পারলেই চাকরি? প্রকাশ্য সভায় প্রতিশ্রুতি বিজেপি নেতার, ভিডিও ভাইরাল
Raghavendra Pratap Singh:

নয়াদিল্লি: মুসলিম মেয়েদের হিন্দু করতে পারলে মিলবে চাকরি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেবেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের যুবকদের প্রতিশ্রুতি প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংহের। প্রকাশ্য সভায় হিন্দু যুবকদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। তাঁর মন্তব্য শুনে হাততালিতে কানপাতা দায় হল, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও। বক্তৃতার সেই ভিডিও সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। (Uttar Pradesh News)
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার ডুমরিয়াগঞ্জের ধনকড়পুর গ্রামে একটি সভায় বক্তৃতা করছিলেন রাঘবেন্দ্র। ওই গ্রাম থেকে দুই মেয়ে মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন জেনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। বলেন, “হিন্দু মেয়ে মুসলিমের সঙ্গে চলে গেলে তা কি গোটা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক নয়? দুই মেয়ে গিয়ে থাকলে, পাল্টা দুই আনলে চলবে না। দুইয়ের পাল্টা অন্তত ১০ মুসলিম মেয়েকে নিয়ে এসে হিন্দু করতে হবে। যুবকরা রাজি তো! হাত তোলো। বিয়ের সব খরচ আমরা বহন করব, নিরাপত্তা দেব, সংসার যাতে সচ্ছ্বল হয়, তার জন্য চাকরিও দেব আমরা। কিন্তু একমাসে যে দুই মেয়ে গিয়েছে, এটা হজম হচ্ছে না আমার। মুসলমানরা শুনে রাখো, মাশুল গুনতে হবে।” (Raghavendra Pratap Singh)
রাঘবেন্দ্রর বক্তৃতা শুনে হাততালিতে মুখর হয়ে ওঠে চারিদিক। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন সভায় উপস্থিত মানুষজন। সেই আবহে রাঘবেন্দ্র দাবি করেন, আগে হিন্দুরা ভয়ে ভয়ে জীবন কাটাত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে আর ভয়ভীত হয়ে কাটাতে হয় না কাউকে। তাঁর ওই মন্তব্য সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
#bhagwalovetrap
— Bushra Mughal (@Bushraskmb) October 26, 2025
Former BJP MLA from Siddharthnagar, Uttar Pradesh, Raghavendra Pratap Singh, during a rally, urged Hindu boys to marry as many Muslim girls as possible. This is being said in a state that has a law against forced conversions. @Uppolice @dgpup @ansarimransr pic.twitter.com/xmMuvRkYhy
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘মুসলিম মেয়ে আনতে পারলেই চাকরি মিলবে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা ওদের সঙ্কীর্ণ ও ঘৃণাপূর্ণ মানসিকতার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এই ধরনের মন্তব্য করে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জানিতর মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, অশান্তি, নৈরাজ্য তৈরি চেষ্টা চলছে। ধর্মান্তরণ ও লভ জিহাদের নামে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং অন্যান্য রাজ্যগুলিতে এমনটাই চলছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়’।
মায়াবতীর মতে, এই ধরনের অপরাধমনস্ক, নৈরাজ্যবাদী, সমাজবিরোধীরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। তাঁদের সমর্থন, নিরাপত্তা জোগানোর পরিবর্তে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে আইনের শাসন কায়েম রাখতে হবে।
সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। ডুমরিয়াগঞ্জে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক সৈয়দা খাতুন জানা, প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক যে মন্তব্য করেছেন, তা নারীবিদ্বেষী নয় শুধু, মেয়েদের পণ্য হিসেবে দেখার মানসিকতাই প্রকট হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “সরাসরি মেয়েদের অপমান করেছেন উনি, তাঁদের ছোট করেছেন। বিশেষ একটি ধর্মকে নিশানা করেছেন উনি। হতে পারে তা ওঁর রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। কিন্তু মেয়েদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অবমাননাকর।” যদিও রাঘবেন্দ্র নিজের মন্তব্য থেকে সরতে নারাজ। বরং সংবাদমাধ্যমের সামনে ফের একই মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে।























