নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলত পারে বায়ুদূষণ। ক্ষতি হতে পারে ফুসফুসের। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, যত তাপমাত্রা কমছে, ততই বাড়ছে আশঙ্কা।

পুনের একদল চিকিৎসক এই বিষয়ে সাবধান হতে বলেছেন। বিশেষ করে যারা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের বেশি সতর্ক হতে বলেছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে যাঁরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বা বর্তমানে ভাইরাসে আক্রান্ত তাদেরও সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণের ফলে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। চিকিৎসকদরা জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা বাড়বে। সিওপিডি হতে পারে। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হলে সুস্থ হয়ে উঠতেও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

নোবেল হাসপাতালের পালমনোলজিস্ট ডা. বৈভব পানধাকার বলেন, স্বাভাবিক সময়েই বায়ুদূষণ সিওপিডি রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সিওপিডি রোগীদের দূষিত অঞ্চলে না যাওয়াই ভাল। কয়েকজন রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুসে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস। যারা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। ফুসফুস এবং হার্টের ক্ষেত্রে যাদের কোমর্বিডিটি আছে তাদের এই  প্রভাবের সম্ভাবনা বেশি।

চিকিৎসকদের মতে, সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে বায়দূষণের ফলে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুহার বাড়বে। পালমোনারি ফিজিওথেরাপিস্ট তথা কার্ডিওভাসকুলার ডা. রাজিয়া নাগারওয়ালা বলেন, কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর  ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে।  ঠিক এই কারণে আমরা উৎসবের মরসুমে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলেছিলাম।  বায়ুদূষণের জেরে শ্বাস প্রক্রিয়ার উপর বিশেষ প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। যাদের ফুসফুস দুর্বল তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখেছি, যাদের ফুসফুসের সমস্যা আছে তাদের সমস্যা অনেক বেশি। প্রত্যেকের মাস্ক পরা উচিত। শুধু ভাইরাস রোধ করার জন্য নয়, পাশাপাশি দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিতেও সাহায্য করবে মাস্ক।