নয়া দিল্লি : আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। তার পর থেকেই সেদেশে থাকা বিদেশিরা একে একে দেশ ছেড়েছেন। তালিবান উগ্রবাদীদের হাত থেকে প্রাণ রক্ষার তাগিদে দেশ ছেড়েছেন বহু আফগানও। এহেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে অবশেষে ফিরল মায়া, ববি ও রুবি। কাবুল থেকে এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে আসা হয় তাদের। আপাতত তারা দিল্লিতে একটি নতুন বাড়ি খুঁজে পেয়েছে। নয়া দিল্লির ইন্দো-তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশের চাওলা ক্যাম্পে পৌঁছনোর আগে মায়া, ববি ও রুবি প্রথমে গুজরাতের জামনগরের বায়ুসেনার স্টেশনে অবতরণ করে।


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কারা এই- মায়া, ববি ও রুবি ? এরা আইটিবিপি -র আওতায় থাকা তিন কুকুর। অভিজাত কমান্ডোদের মতোই তিন বছর ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের দারুণ সাহসিকতা, পেশাগত যোগ্যতা এবং কঠোর আনুগত্যের সাথে পাহারা দিয়েছে। এই সংস্থার তরফে সোমবার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে এই সংঘাত-বিধস্ত দেশে নিজেদের ফিট রেখেছে মায়া, ববি ও রুবি। ক্লিপে, রুবিকে একটি ট্রেড মিলের উপর চর্চা করতে দেখা যায়। এক কর্মকর্তা ভিডিওতে বলেছেন, সে (রুবি) আনন্দ এবং শক্তিতে পূর্ণ। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসে উপভোগ করার পর, রুবি তার হ্যান্ডলার হেড কনস্টেবল কৃষ্ণকান্তের অধীনে কাজের জন্য প্রস্তুত হয় এবং এখানে সে নাশকতা রোখার জন্য চেক করছে, কাবুলে ভারতীয়দের এবং ভারতীয় সম্পদ বাঁচানোর জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর কাজ।


বিস্ফোরক বোঝাই যানবাহনের ব্যবহার জঙ্গিদের কাছে খুবই সাধারণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা হয়। এক্ষেত্রে আইটিবিপির ক্যানাইন উইং কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসকে সুরক্ষিত করেছে। এই তিন নায়ক, K9, দূতাবাসে আসা রেশন এবং সরবরাহ শুঁকে দেখত। দূতাবাসের নির্মাণকাজ চলার সময় তারা কমপ্লেক্সে যাতে কোনও বিস্ফোরক প্রবেশ না করে তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। এই সময়ের মধ্যে তারা অনেক আইইডি শনাক্ত করেছে এবং শুধু ভারতীয় কূটনীতিকদেরই নয়, দূতাবাসে কর্মরত স্থানীয় আফগান নাগরিকদেরও জীবন সুরক্ষিত করেছে।