নয়া দিল্লি: ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজ চলাচল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যাচ্ছিল পাকিস্তানদের হাতে! অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কীভাবে হচ্ছে এই কাজ, খুঁজতে নজর চালিয়ে যাচ্ছিল গুজরাতের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড। সেই কাজ করতে গিয়েই ধরা পড়েন এক ব্যক্তি।                                        


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দীপেশ গোহেল।  সে প্রতিদিন ২০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পাকিস্তানি এজেন্ট সাহিমার কাছে এই তথ্য সরবরাহ করত৷ সাত মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে দীপেশ ওই পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নিজেকে সাহিমা বলে পরিচয় দেয় ওই পাকিস্তানি চর। ফেসবুক ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও দীপেশের সঙ্গে যোগাযোগ করত সাহিমা। 


বন্দর সংলগ্ন এলাকার ছবি থেকে জাহাজের নাম, কতক্ষণ ওই জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে, নৌবাহিনীর কত জাহাজ রয়েছে, এই সব তথ্যই দীপেশের থেকে চলে ওই পাক এজেন্টের কাছে।  মোট ৪২ হাজার টাকা পাক চরের কাছ থেকে দীপেশ পেয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও এখনও পাক এজেন্টের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। 


আরও পড়ুন, বাংলাদেশের শনি-কালী মন্দিরে হামলা, ইসকনের একাধিক সেন্টারে ভাঙচুর


গুজরাটের ATS অফিসার কে সিদ্ধার্থ বলেছেন, “আমরা তথ্য পেয়েছি যে ওখার একজন ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানের নৌবাহিনী বা আইএসআই-এর একজন এজেন্টের সঙ্গে কোস্ট গার্ড বোটের বিবরণ শেয়ার করছেন। তদন্তের পর আমরা ওখার বাসিন্দা দীপেশ গোহিলকে গ্রেফতার করি। দীপেশ যে নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন তা পাকিস্তানে পাওয়া গেছে।


ATS-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওখা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজগুলিতে দীপেশের অবাধ যাতায়াত ছিল। 


কে সিদ্ধার্থ এও বলেছেন, “পাকিস্তানের নৌবাহিনী বা আইএসআই এজেন্টরা এমন লোকদের খোঁজে যারা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী নৌযান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে, গুজরাটের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড, কোস্ট গার্ডের সঙ্গে কাজ করে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, কোস্ট গার্ড বোটগুলির বিবরণ পাকিস্তানের সামরিক এবং এজেন্টদের কাছে মূল্যবান হতে পারে। এই তথ্য চলে যাওয়া আমাদের জন্য আগামী দিনে বিপজ্জনক হতে পারে।"            


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে