মুম্বই : প্রত্যেক সন্তানের জীবনে তার মায়ের অবদান অপরিসীম। ছোট থেকে বড় হওয়া...প্রতিটি পর্বেই সন্তানকে পথ দেখান মা। একজন খেলোয়াড়ের জীবনেও মায়ের ভূমিকা ততটাই গুরপত্বপূর্ণ। স্কুলে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে গ্রাউন্ডে প্র্যাক্টিসে নিয়ে যাওয়া, খেলোয়াড় জীবনে খারাপ সময়ে হোক...প্রায় প্রতিটি মুহূর্তেই পাশে দাঁড়িয়ে যে মানুষটি সাহস জোগান, মনোবল বাড়ান...তিনি মা। আজ মাতৃ দিবসে বরাবরের মতো তাই নিজের সাফল্যময় জীবনের জন্য মা-কে সম্মান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সচিন তেন্ডুলকর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখলেন, যত বয়সই হোক, মায়েরা সবসময় সন্তানদের জন্য প্রার্থনা করেন। তাঁদের কাছে আমরা শিশুই। আমার জীবনে দুই মা-কে পাওয়া আশীর্বাদের মতো। এঁরা আমায় বড় করে তুলেছেন এবং সবসময় ভালোবাসা দিয়েছেন।
আই এবং কাকু-কে মাতৃ দিবসের শুভেচ্ছা !
ছোটবেলার ক্রিকেট প্রশিক্ষণের পর্ব থেকে শুরু করে খেলোয়াড় হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া, বিশাল ক্রিকেট-কেরিয়ারে বিভিন্ন সময়ে চোট পাওয়া- প্রতিটি কঠিন মুহূর্তেই মা রজনী তেন্ডুলকরকে পাশে পেয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ তাই মায়ের সামনে খেলতে চেয়েছিলেন। পেয়েওছিলেন সেই সুযোগ। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণায় তিনি বলেছিলেন, আমার জীবনে ওই একটি ম্যাচেই মা-কে স্ট্যান্ডে থাকতে দেখেছিলাম। আমি শেষ ম্যাচটা মুম্বইয়ে খেলতে চেয়েছিলাম। মায়ের সামনে খেলতে চেয়েছিলাম। কারণ, তিনি কখনও আমাকে খেলতে দেখেননি। তাই ফোনে এন শ্রীনিবাসনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমার অনুরোধ মেনে নিয়েছিলেন। স্টেডিয়ামের ভিতরে সেটাই ছিল প্রথমবার। এটা ছিল আমার জীবনের সবথেকে বড় বিষয়, কারণ আমি মা-কে দেখাতে চেয়েছিলাম গত ২৪ বছর ধরে আমি কী করছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন সচিন। ২৭ মার্চ টুইট করে অনুরাগীদের জানান, তিনি করোনায় আক্রান্ত। পরে গত ২ এপ্রিল ফের টুইটারে জানান, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৷এই টুইটের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন ভক্তরা। শেষমেশ করোনমুক্ত হয়ে ৮ এপ্রিল বাড়ি ফেরেন ক্রিকেটের "ভগবান"।