কলকাতা : আবার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে নীতি পুলিশির অভিযোগ। এবার গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে খুন হয়ে গেলেন বাংলার যুবক। কাজের জন্য গিয়েছিলেন হরিয়ানায়। সেখানেই প্রাণ গেল তাঁর।
অভিযোগ, বাংলার এই পরিযায়ী শ্রমিককে হরিয়ানায় পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বাসন্তীর এই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা। তারপর তাঁকে পিটিয়ে মারা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে একটি খালের ধার থেকে উদ্ধার হয় দেহ, দাবি নিহত যুবকের পরিবারের। হরিয়ানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা সাবির মল্লিক। এলাকায় কাজ না পেয়ে তিন বছর আগে শ্য়ালক ও স্থানীয় কয়েক জন যুবককে নিয়ে হরিয়ানায় যান তিনি। শ্য়ালককে নিয়ে বাড্ডা থানায় এলাকায় থাকতেন বছর তেইশের যুবক। সেখানে কাগজ কুড়নোর কাজ করতেন তিনি।
পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার গো-রক্ষা কমিটির সদস্য়রা তাঁকে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। মৃতের পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সাবির। পরে একটি নিকাশি খালের পাশ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, সাবিরের শ্য়ালক সুজাউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে বাসন্তীর বল্লারটপ গ্রামে পৌঁছয় সাবিরের মৃতদেহ।
FIR অনুসারে, ২৭শে অগাস্ট সকালে, একদল যুবক বাধরা গ্রামের কাছে একটি বস্তিতে আসেন। সেখানেই থাকতেন ছোট ব্যবসায়ী সাবির। তাঁকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, সাবির ছাড়াও অসমের বাসিন্দা আসিরুদ্দিন নামে আরেক পরিযায়ী শ্রমিককেও বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নিয়ে যায় তারা। সেখানে দুজনকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পথচারীরা বাধা দিলে তারা দুজনকে তাদের মোটরসাইকেলে করে অন্য কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরিযায়ী শ্রমিক সাবিরকে একটি খালের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আসিরুদ্দিনকে অন্য জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কয়েকদিন আগেই ১৯ জুন উত্তর প্রদেশে গরুর মাংস ব্যাগ করে নিয়ে যাচ্ছেন, এই সন্দেহেই একটি উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্যরা একজন রিকশা চালকের উপর হামলা চালায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।