Hathras Case LIVE Updates: হাথরসকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের
ঘরের মেয়েকে কেন দাহ করার অধিকারটুকু দিল না যোগী-প্রশাসন? তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রশ্ন নির্যাতিতার মায়ের।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দLast Updated: 03 Oct 2020 09:05 PM
প্রেক্ষাপট
কানপুর: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের তরুণীর ওপর নারকীয় অত্যাচার ও তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় আলোড়িত গোটা দেশ। ওই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। আজ সিট-এর সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে...More
কানপুর: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের তরুণীর ওপর নারকীয় অত্যাচার ও তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় আলোড়িত গোটা দেশ। ওই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। আজ সিট-এর সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে যান। তাঁরা পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রশাসনকে জমা দেওয়া হবে।তবে এরই মধ্যে নির্যাতিতার বাবাকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার বাবা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, প্রশাসনের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট। এ নিয়ে যাতে আন্দোলন বিক্ষোভ না হয়, তার জন্যও তিনি আবেদন করেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, কার্যত নির্যাতিতার বাবাকে দিয়ে এইভাবে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছে যোগী সরকার। এরই মধ্যে আজ রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর হাথরস যাওয়ার কথা। তবে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। হাথরসে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে, বললেন রাহুল, নির্যাতিতার মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা প্রিয়ঙ্কার
যোগীর পুলিশের গলা ধাক্কা খেয়ে আগের দিন ফিরে গেলেও আজ হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে কথা বললেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। নির্যাতিতার মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা প্রিয়ঙ্কার। বললেন, মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে ভয় দেখাচ্ছে যোগীর পুলিশ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বললেন রাহুল। যেভাবে নির্যাতিতাকে দাহ করা হয়েছে তা নিয়ে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কাছেও তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ, বিচার চাই, বলল পরিবার। ডিএমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাঁতর আবেদন। পাশে থাকার আশ্বাস রাহুল-প্রিয়ঙ্কার। হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে যাওয়ার অনুমতি দিল যোগী প্রশাসন। সঙ্গে গেলেন অধীর, বেণুগোপাল সহ ৩ জন। আটকে গেলেন কংগ্রেসের বাকি সাংসদরা।
নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ৩ দিন পর চিতাভস্ম থেকে অস্থি সংগ্রহ পরিবারের
রাতের অন্ধকারে হাথরসের নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ৩ দিন পর চিতাভস্ম থেকে অস্থি সংগ্রহ করল পরিবার। ঘরের মেয়েকে কেন দাহ করার অধিকারটুকু দিল না যোগী-প্রশাসন? তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রশ্ন নির্যাতিতার মায়ের।
নির্যাতিতার দেহ সৎকারের আগে পরিবারের অনুমতি নেয়নি পুলিশ বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেললেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি এইচসি অবস্থি। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় পুলিশ নিয়েছে।
হাথরসে ঢোকার অনুমতি রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে, সঙ্গী অধীর চৌধুরী, কে সি বেনুগোপাল এবং পি এল পুনিয়া
চাপের মুখে অবশেষে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে হাথরসে ঢোকার অনুমতি দিল যোগী প্রশাসন। তাঁদের সঙ্গে নির্যাতিতার বাড়িতে যাবেন অধীর চৌধুরী, কে সি বেনুগোপাল এবং পি এল পুনিয়া। রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকে দিল্লি-নয়ডা সংযোগকারী রাস্তায় জমায়েত করেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। ভিড় হঠাতে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভরত দলীয় নেতা-কর্মীদের শান্ত করতে একটা সময় মাইক হাতে গাড়ির উপর ওঠে পড়েন রাহুল।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় সারা দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এরইমধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ারের। তিনি দাবি করেছেন, হাথরসে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়নি। এ সব ভিত্তিহীন কথা। পাঁজরে চোটের কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। কাটিয়ার আরও বলেছেন,রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ঠিক নয়, এমন বলাটা আদৌ সমীচিন নয়। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। যোগী রাজ্যে কোনও বিশৃঙ্খলা হতে পারে না বলেও কাটিয়ার মন্তব্য করেছেন। হাথরসকাণ্ডে সরকার কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও কাটিয়ার দাবি করেছেন।
হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডে ফের যোগী সরকারকে নিশানা রাহুল-প্রিয়ঙ্কার। কংগ্রেস সাংসদের ট্যুইট, মিষ্টি মেয়েটা আর তার পরিবারের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও পুলিশ যে ব্যবহার করছে, তা কিছুতেই মেনে নেব না। কোনও ভারতীয় এটা সহ্য করবে না। পাশাপাশি, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ট্যুইট, উত্তরপ্রদেশ সরকার নৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। নির্যাতিতা চিকিত্সা পাননি, সময়মতো অভিযোগ লেখা হয়নি, জোর করে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবারকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে - এখন তাদের নারকো টেস্টের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ এই ব্যবহার মেনে নেবে না। নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন। এর আগে যোগী আদিত্যনাথকে আক্রমণ করে প্রিয়ঙ্কা ট্যুইট করেন, যোগী আদিত্যনাথ পদত্যাগ করুন। আপনার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই।
হাথরাসে ফের সংবাদমাধ্যমকে রোখার চেষ্টা। আধিকারিকদের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে পুলিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। পরিবার মুখ্য স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজিপি-র সঙ্গে একলা কথাবার্তা বলতে অস্বীকার করেছে।
নির্যাতিতার ভাই বলেছেন, তাঁদের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, প্রশাসন বলছে যে, ধর্ষণ হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল? মৃতদেহ তাঁদের দেখানো হল না কেন?
নির্যাতিতার পরিবার বলেছে, চিতা থেকে অস্থি সংগ্রহ করতে তাঁরা যাননি এই কারণে যে, তাঁদের জানা নেই যে, যার দেহ পোড়ানো হয়েছে, তিনি তাঁদের মেয়ে, না অন্য কেউ। কারণ, তাঁদের মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি।
নির্যাতিতার পরিবার বলেছে, ডিএম তাঁদের বলেন যে, আপনাদের অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছে, তো চুপ করে থাকুন। আপনাদের মেয়ে করোনায় মরলে তো ক্ষতিপূরণ পেতেন না।
পরিবারের সদস্যরা সাফ জানিয়েছেন, কাল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর কোনও দল বাড়িতে আসেনি। শুধুমাত্র পুলিশ এসেছিল। আমাদের কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন সিট-এর নামে এবিপি আনন্দকে পরিবারের সঙ্গে কাল দেখা করার অনুমতি দেয়নি।
নির্যাতিতার পরিবার এবিপি আনন্দকে বলেছে, পুলিশের জানানো উচিত কাকে জ্বালানো হয়েছে। পরিবার ডিএম প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ করেছে। পরিবারের প্রশ্ন, কার অনুমতি নিয়ে তাঁদের মেয়েকে পোড়ানো হয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবার এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কারুর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। ডিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সবার ফোনে নজরদারি রাখা হচ্ছে। ডিএম তাঁদের হুমকি দিয়েছেন।
এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় খবর। চাপের মুখে এবিপি আনন্দকে নির্যাতিতার গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল। কিছুক্ষণের মধ্যেই এবিপি আনন্দর টিম নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে।
আজ ফের হাথরসে যাবেন রাহুল। যেতে পারেন প্রিয়ঙ্কাও। দুপুর ২টোয় দিল্লিতে দলের সদর দফতর থেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে হাথরসের উদ্দেশে রওনা দেবেন কংগ্রেস সাংসদরা।
হাথরসকাণ্ডে শিবসেনার নিশানায় বিজেপি। দলীয় মুখপত্র সামনায় বিজেপির হিন্দুত্ববাদী মনোভাব নিয়ে খোঁচা। লেখা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ রামরাজ্য নয়, বরং আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে সেখানে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। মহিলাদের উপর নির্যাতন হচ্ছে। দলীয় মুখপত্র সামনায় বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ শিবসেনার।
হাথরসকাণ্ডে আজ একই দিনে একই সময়ে পথে মমতা ও বাম-কংগ্রেস। বিকেল ৪টেয় বিড়লা তারামণ্ডল থেকে মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিল। নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, দলিত নিগ্রহের প্রতিবাদে আজ ও কাল ব্লকে ব্লকে অবস্থান বিক্ষোভ এবং মিছিল কর্মসূচি তৃণমূলের। অন্যদিকে, হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বিকেল ৪টেয় মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেসের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন।
এসপি, ডিএসপি-সহ ৭ পুলিশ সাসপেন্ড হলেও জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লক্সকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ সরকার না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। এরইমধ্যে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ট্যুটট করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, দাবার কিছু বোড়েদের সাসপেন্ট করে কিছু হবে না। তিনি এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
হাথরসকাণ্ডে এসপি, ডিএসপি-সহ ৭ পুলিশ সাসপেন্ড। ঘটনাস্থলে থাকা সব পুলিশের নারকো, পলিগ্রাফ টেস্ট। অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারেরও নারকো টেস্ট। এসপি হিসেবে বিনীত জওয়াল গতকাল রাতেই দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। যদিও স্থানীয় আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের নির্যাতিতার গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন।
দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে চাপের মুখে নড়েচড়ে বসল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাসপেন্ড হাথরসের এসপি, সঙ্গে আরও কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনায় রিপোর্ট বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে এসপিকে সাসপেন্ড করা হল বলে জানা গেছে।
দিল্লির পঞ্চকুইন্যা রোডে বাল্মিকী মন্দিরে হাথরাসে নির্যাতিতার জন্য প্রার্থনা সভায় যোগ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তিনি বলেছেন, পরিবার নির্যাতিতা অন্ত্যেষ্ঠির সুযোগ পায়নি। এটাই সবচেয়ে বড় অন্যায়। তিনি বলেন, ওই মেয়েটির সঙ্গে যা হয়েছে, তাঁর পরিবারের সঙ্গে যা হচ্ছে, তা একের পর এক অন্যায়। এর বিরুদ্ধে দেশের প্রত্যেককে সরব হতে হবে। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি নির্যাতিতা।
নির্যাতিতার ভাই এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ পুলিশ তাঁদের বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তাঁর অভিযোগ, নির্যাতিতার বাবাকে মারধরও করা হয়েছে এবং সবাইকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলতে মানা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান। খেতের পথে ধরে এবিপি আনন্দর কাছে পৌঁছন।
হিন্দুধর্মের মুখাগ্নি, ক্রিয়াকর্মের নিয়ম না মেনেই রাতের অন্ধকারে মৃতার দেহ পোড়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। হাথরস গণধর্ষণকাণ্ডে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উত্তরপ্রদেশের লোনির বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জর।
এবার হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে জেলাশাসক, এসএসপি। ‘এই ঘটনা নিয়ে আগে এগোবেন না। এই ঘটনা নিয়ে এগোলে আর্থিক সাহায্যের টাকা পাবেন না।’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।
হাথরসকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলার দাবি জানালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে অভিনেত্রী লিখেছেন, যোগী আদিত্যনাথের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। গত বছর হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় যেভাবে ঘটনাস্থলেই অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করা হয়েছিল, হাথরসকাণ্ডেও সেরকমই আবেগপ্রবণ এবং স্বতঃস্ফূর্ত বিচার চাই।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের তরুণীর ওপর নারকীয় অত্যাচার ও তাঁর মৃত্যুর ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে লেখেন, হাথরসে এক দলিত তরুণীর সঙ্গে যে বর্বর ও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দার ভাষা নেই। ওই তরুণীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আরও লজ্জাজনক হল, যেভাবে জোর করে, পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ওই তরুণীর সত্কার করা হয়েছে। যারা স্লোগান দেয় ও ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয়, এই ঘটনা তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে।
রাহুল-প্রিয়ঙ্কা হাথরসে আসছেন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। রাজস্থানের আলওয়ারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সেখানে যাননি, কারণ সেখানে কংগ্রেসের সরকার। কটাক্ষ বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহের। তাঁর দাবি যে কোনও ধরনের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ তৈরি আছে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, নির্যাতিতার বাবা বলছেন, জোর করে তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছে যোগী সরকার। যদিও লিখিতভাবে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, যোগী সরকারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জোর করে তাঁকি দিয়ে ওই মুচলেকা লিখিয়েছে বলে সরব বিরোধীরা।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, নির্যাতিতার বাবা বলছেন, জোর করে তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছে যোগী সরকার। যদিও লিখিতভাবে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, যোগী সরকারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জোর করে তাঁকি দিয়ে ওই মুচলেকা লিখিয়েছে বলে সরব বিরোধীরা।
হাথরসের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমারের দাবি, ‘ঘাড়ে চোট পাওয়ার কারণেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এফএসএল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, জাতপাতের ভিত্তিতে উত্তেজনা তৈরি করার লক্ষ্যেই কিছু লোক বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের লোকজনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাথরসের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমারের দাবি, ‘ঘাড়ে চোট পাওয়ার কারণেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এফএসএল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, জাতপাতের ভিত্তিতে উত্তেজনা তৈরি করার লক্ষ্যেই কিছু লোক বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের লোকজনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাথরসের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এডিজি প্রশান্ত কুমারের দাবি, ‘ঘাড়ে চোট পাওয়ার কারণেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এফএসএল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, জাতপাতের ভিত্তিতে উত্তেজনা তৈরি করার লক্ষ্যেই কিছু লোক বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের লোকজনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে নয়ডার অতিরিক্ত ডিসিপি রণবিজয় সিংহ বলেছেন, ‘আমরা এখানে তাঁদের আটকে দিয়েছি। মহামারী আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা তাঁদের আর এগিয়ে যেতে দেব না।’
রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে নয়ডার অতিরিক্ত ডিসিপি রণবিজয় সিংহ বলেছেন, ‘আমরা এখানে তাঁদের আটকে দিয়েছি। মহামারী আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা তাঁদের আর এগিয়ে যেতে দেব না।’
রাহুল-প্রিয়ঙ্কা হাথরসে আসছেন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। রাজস্থানের আলওয়ারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সেখানে যাননি, কারণ সেখানে কংগ্রেসের সরকার। কটাক্ষ বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহের। তাঁর দাবি, যে কোনও ধরনের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ তৈরি আছে। সংবেদনশীলতা হারিয়েছেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। হাথরসের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য বিজেপি নেতা মোক্তার আব্বাস নকভির।
নয়ডার ডিএনডি উড়ালপুলে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে আটকে দেওয়া হবে। হাথরসের জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লস্কর বলেছেন, এলাকার সব সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ৫ জনের বেশি লোক জড়ো হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। প্রিয়ঙ্কা আসছেন বলে কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই। আজ মৃতার পরিবারের সঙ্গে এসআইটি সদস্যরা দেখা করবেন, সংবাদমাধ্যমকে যেতে দেওয়া হবে না।
উত্তরপ্রদেশে পরের পর ধর্ষণের ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তিনি ট্যুইটে লেখেন, হাথরসের মতোই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে বলরামপুরে। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে তার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আজমগড়, বাগপত, বুলন্দশহরে নির্যাতন হয়েছে শিশুকন্যাদের ওপর। উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। শুধু বক্তৃতা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা যায় না। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। জনগণ জবাব চায় বলে ট্যুইটে লিখেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের তরুণীর ওপর নারকীয় অত্যাচার ও তাঁর মৃত্যুর ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে লেখেন, হাথরসে এক দলিত তরুণীর সঙ্গে যে বর্বর ও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দার ভাষা নেই। ওই তরুণীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আরও লজ্জাজনক হল, যেভাবে জোর করে, পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ওই তরুণীর সত্কার করা হয়েছে। যারা স্লোগান দেয় ও ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয়, এই ঘটনা তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে।
হাথরসের ঘটনায় ট্যুইটে প্রতিবাদ কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের। তাঁর ট্যুইট, হাথরস ১৯ বছরের তরুণী। বুলন্দশহর ১৪ বছরের নাবালিকা। আজমগড়ে নির্যাতিতার বয়স ৮। তালিকা বেড়েই চলেছে। দাদি থেকে শিশুকন্যা, কেউই রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষণ ছাড়া অন্য সব বিষয় নিয়েই রাজনীতিকরা মাথা ঘামান, এটা চার বছর আগেই তিনি বলেছিলেন বলে জানান তারুর।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে নারকীয় ধর্ষণ ও নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই দেশের চার রাজ্য থেকে ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ সামনে এল।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই চারটি ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ২২ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বলরামপুরের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। আজমগড়ে ৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
উত্তরপ্রদেশের বাগপতে ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত এক নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ওই নাবালিকা এখন সুস্থ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
এছাড়াও রাজস্থানের আলওয়ারে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশে গতকাল রাতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ৩ যুবক।