নয়া দিল্লি: ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পরিস্থিতি। মুষলধারে বৃষ্টিতে যেন ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে প্রকৃতি। রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তোলপাড় চালাচ্ছে বিপাশা নদী (Beas River)। বিপদসীমা অতিক্রম করেই প্রবল বেগে ধাবমান সে। কোথাও নদী ভেঙেছে ব্রিজ, মন্দির। কোথাও আবার নদীগর্ভে তলিয়েছে রাস্তা। বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের এই ছবিই এখন ভয় ধরাচ্ছে।
কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে হড়পা বান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচলে। নদীর দাপটে নদীগর্ভে একের পর এক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। এমনও ভিডিও দেখা গিয়েছে, যেখানে জোলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে গাড়িও। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই হিমাচলে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
এমনকী নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি মান্ডি এলাকার জাগ্রত পঞ্চভক্ত্রা মন্দিরের। ভক্তরা এখানে নিত্যদিন আসেন এবং পুজো দেন। মন্দিরের এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কে ভুগছে গোটা এলাকা। হিমাচলের আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ১৪ জুলাই পর্যন্ত পুরো রাজ্যে বৃষ্টির প্রক্রিয়া চলতে পারে।
হিমাচলের লাহৌল-স্পিতিতে আকস্মিক বন্যা, তুষারধসেরও সতর্কতা জারি হয়েছে। উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর, চাম্বা, কাংড়া, কুল্লু এবং মান্ডি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিমলা, সোলান, সিরমাউর এবং লাহৌল-স্পিতিতে হলুদ-কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও এসএমএসের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
কী পরিস্থিতি?
প্রবল বৃষ্টিতে হিমাচল জুড়ে প্রায় ১৩৩টি রাস্তা বন্ধ। বিমান ও ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়। ১৬৯৪টি জল প্রকল্প অচল। রিভার র্যাফটিং এবং প্যারাগ্লাইডিংয়ের মতো গেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সিমলা জোনে ৮৮টি, মান্ডিতে ২৫টি, হামিরপুরে ১০টি এবং কাংড়া জোনে ১০টি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, তারকেশ্বরের মন্দির কেন গুরুত্বপূর্ণ? কেন শ্রাবণ মাসে শিবকে জল নিবেদন করতে ছুটে আসেন ভক্তরা?