পটনা: খাতায়-কলমে সুরা একেবারে নিষিদ্ধ। নীতীশ কুমারের হাতে 'ড্রাই স্টেট' হিসেবে আত্মপ্রকাশ বিহারের। কিন্তু খাতায়-কলমে যা-ই হোক না কেন, প্রদীপের তলায় যে ঘোর অন্ধকার, তা নিয়ে অভিযোগ ছিল বরাবরই। এবার হাতেনাতে অভিযোগের প্রমাণ মিলল। তেলের ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল বিয়ারের প্রায় ২০০ পেটি। শুল্ক দফতর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। (Viral News)
বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। নাগাল্যান্ড রাজ্যে নথিভুক্ত হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের একটি ট্যাঙ্ক রাজ্যে প্রবেশ করে। ওই ট্যাঙ্কারের ভিতর থেকেই ২০০টি বিয়ারের পেটি উদ্ধার হয়। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কিন্তু কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্যাঙ্কার রেখে চম্পট দেন সুরা পাচারকারীরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ট্যাঙ্কারটি শুল্ক দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় পরে। (Bihar News)
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে তেলের ট্যাঙ্কারে মদ পাচারের খবর পেয়েছিলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। সেই মতো আগে থেকে টিম তৈরি করে রাখা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, হাতেনাতে পাচারকারীদের ধরতে হবে। সেই মতো আগে থেকেই হাইওয়ের উপর ব্যারিকেড বসানো হয়। এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি বুঝে যান পাচারকারীরা। ট্যাঙ্কার ঘুরিয়ে জাতীয় সড়কের দিকে এগোতে শুরু করেন।
পরিস্থিতি বুঝে ট্যাঙ্কারটির পিছু নেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরাও। বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর ট্যাঙ্কারের চালক এবং পাচারকারী ট্যাঙ্কার থেকে নেমে দৌড় দেন। শুল্ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বিজয়শেখর দুবে জানিয়েছেন, যে বিয়ার পাচার করা হচ্ছিল, তা আসলে অরুণাচল প্রদেশে তৈরি। স্থানীয় ব্যবসায়ী সেটি রাজ্যে আমদানি করছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। ওই ব্যবসায়ীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তল্লাশি চলছে বিভিন্ন জায়গায়।
বিহারে সুরা বিক্রি একেবারে নিষিদ্ধ। কিন্তু নজরদারি এড়িয়ে দেদার বিক্রি এবং পান চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিত্য-নতুন উপায়ে রাজ্যে সুরা পাচার করা হয়। এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়েও সুরা পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগেও তেলের ট্যাঙ্কারে ভরে সুরা পাচারের ঘটনা সামনে আসে। সুরা পাচারের জন্য ট্যাঙ্কারের ভিতর পৃথক কম্পার্টমেন্টও বানানো হয় আলাদা করে। সেই নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েন না নীতীশ সরকারকে। সুরা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন।