নয়া দিল্লি : "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ঘুমাতে দেন না। ভারতীয় রেলের কী করে আরও উন্নতি করা যায়, তার জন্য সবসময় তাঁকে তাড়া দিতে থাকেন।" দেশের রেল পরিকাঠামো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা-চিন্তার কথা এই ভাষাতেই তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। এবিপি নেটওয়ার্কের 'Ideas of India' সেসনের প্রথম দিনে যোগ দিয়ে তিনি রেল পরিবহন নিয়ে একের পর এক তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "দেশের প্রত্যেক রেলযাত্রীর অভিজ্ঞতা পাল্টে দিতে বদ্ধ পরিকর প্রধানমন্ত্রী। তাতে রাজনৈতিকভাবে বিজেপির উপস্থিতি থাকুক বা না থাকুক। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘুমাতে দেন না। উনি সবসময় আমাদের কাজ করতে দেখতে ভালবাসেন।"
ভারতীয় রেলের বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। ফি বছর প্রায় ৮০০ কোটি যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করেন। 'Last Mile Mobility: Connecting the Dots’ শীর্ষক বিষয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, "সবার প্রথম রেলস্টেশনগুলির রূপান্তর চান প্রধানমন্ত্রী। কারণ, ভারতীয় রেলের সঙ্গে যাত্রীদের সম্পর্ক গড়ে ওঠার এটাই প্রথম মাধ্যম।" একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মুম্বই রেলস্টেশন নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ স্টেশনের নকশা তৈরি করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। এখন আমরা এই স্টেশনটির এমন নকশা করতে চাই, যাতে লন্ডন থেকে মানুষ ভারতে আসে শুধু এই স্টেশন দেখতেই। এটা শুধুমাত্র মুম্বই, দিল্লি বা আমদাবাদের কথা নয়। গোটা দেশজুড়ে স্টেশনগুলির নকশা নতুন করে তৈরি করার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে আমাদের একটা লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। যাতে ভারতের প্রত্যেক রেলযাত্রীর অভিজ্ঞতা বদলে দেওয়া যায়। 'ঐতিহ্য বজায় রেখে উন্নয়ন'-ই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য।"
তিনি আরও বলেন, "২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্বমানের ট্রেনের প্রয়োজন আছে ভারতের। সেই লক্ষ্যে আমাদের অফিসাররা জার্মানি, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশে যান। ফিরে এসে প্রেজেন্টশন ও ব্রোশিওর দেন। তাঁরা মনে করেন, ওই প্রযুক্তির অনুকরণ করা যেতে পারে ভারতে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী চান, বন্দে ভারত ট্রেনের সব নকশা ও উৎপাদন যেন ভারতে ভারতীয়দের দ্বারাই হয়।" এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মন্তব্য, "আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে ভারত অন্যতম প্রধান প্রযুক্ত রফতানিকারী দেশে পরিণত হবে। আজ দেশের ৯৯ শতাংশ মোবাইল মেড-ইন-ইন্ডিয়া, আগে ৯৯ শতাংশ আমদানি করা হতো।"