কোচবিহার: দাবি পূরণ না হলে বিকল্প ভাবতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব উত্তরবঙ্গের নশ্যশেখ সম্প্রদায়। পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রতিশ্রুতি মিললেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘুদের ক্ষোভ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি।


ঘটনা কী?
উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নশ্যশেখ। তাঁদের দাবি, নশ্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করতে হবে। ২০১৪ থেকে বারবার এই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ সরকার এই কথায় কর্ণপাত করছে না। ইমাম মোয়াজ্জেম ও উলেমা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মেহবুব আলি বলেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। ২০১৪ সাল থেকে উন্নয়ন পর্ষদের দাবি জানাচ্ছি আমরা। কিন্তু, ভোটের আগে দাবি পূরণ না হলে বিকল্প কিছু ভাবতে বাধ্য হবে। এই জনগোষ্ঠীর জন্য তৈরি হচ্ছে না। সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখতে গেলে সরকারকে দাবি মানতে হবে। নইলে বিকল্প ভোট।“

উল্লেখ্য, আজই ৩ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই ক্ষোভ উগরে দিলেন নশ্যশেখ সম্প্রদায়। যারা উত্তরবঙ্গের রাজবংশী মুসলমান। উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নশ্যশেখ। কোচবিহারের বাসিন্দাদের প্রায় ৩০ শতাংশই রাজবংশী মুসলমান। তবে শুধু ক্ষোভ উগরে দেওয়াই নয়, রীতিমতো সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। দাবি পূরণ না হলে বিকল্প রাস্তা দেখার পথে হাঁটবে।

উত্তরবঙ্গ নশ্যশেখ যুব মঞ্চের সম্পাদক রেজাউল ব্যাপারি বলেন, একটা জাতি দিনের পর দিন কোণঠাসা, বঞ্চিত। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা মমতার ওপর চাতকের মতো বসে ছিলাম। কিন্তু পাওয়ার যোগ্য নেই? ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘুকে শুধু প্রলোভন দেখাচ্ছে। তাদের দাবি বিবেচনা করে দেখা উচিত বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশও। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোফাজ্জর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে নশ্যশেখ উন্নয়ন পর্ষদ একান্ত জরুরি। ২০১৪ সাল থেকে তারা দাবি জানাচ্ছে। নেত্রীর দেখা উচিত।

সংখ্যালঘুদের ক্ষোভ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল ঢপ দিচ্ছে। ওঁরা ঢপ খাচ্ছে। তৃণমূলের পিসি ভাইপো ছাড়া কারও উন্নয়ন হয়নি।আমাদের সঙ্গে থাকলে, জেতার পর নিশ্চয়ই ভাবা হবে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়।