করোনা অতিমারীর অবস্থা দেশে এমনিতেই যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এগারো লক্ষ। দিনপ্রতি আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৪০ হাজার করে মানুষ।কিন্তু এতেই নাকি শেষ নয়। বর্ষা-উত্তর সময়ে এবং শীতকালে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছে আইআইটি-এআইআইএমএস-এর সমীক্ষা।


বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যৌথভাবে সমীক্ষা চালিয়েছে আইআইটি-ভুবনেশ্বর এবং এআইআইএমএস-ভুবনেশ্বর। সমীক্ষায় যোগ দেওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বর্ষা এবং বর্ষা উত্তর সময়ে শীতকালে অতিমারী আটকানো এক মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে দেশের কাছে। কারণ সংক্রমণ আরও ভয়ানক আকার নেবে। সমীক্ষাটিতে সামগ্রিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আইআইটি-ভুবনেশ্বরের স্কুল অফ আর্থ, ওশন অ্যান্ড ক্ল্যাইম্যাটিক সায়েন্সেস –এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ভি ভিনোজ। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশের ২৮টি রাজ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার হার, গতি-প্রকৃতি, কেমন পরিবেশ, আর্দ্রতা, জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি, সূর্যের বিকিরণ এবং আলাদা আলাদা তাপমাত্রায় সংক্রমণ ছড়ানোর হার কেমন হচ্ছে ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।উল্লিখিত ফ্যাক্টরগুলো ভাইরাস সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন গবেষকরা।

প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে সংক্রমণের হার কমছে .৯৯ শতাংশ। আবার বাতাসের আর্দ্রতা রোগ সংক্রমণ বাড়াতে সাহায্য করছে। আর ভয়টা সেখানেই। বর্ষা ও বর্ষা উত্তর সময়ে আর্দ্রতা বাড়তে বাধ্য। আর শীতে তাপমাত্রা কম থাকতে বাধ্য। এই দুটি ফ্যাক্টরই সংক্রমণের ব্যাপ্তি ঘটানোর পক্ষে অনুকূল। সে জন্য আগামী দিনগুলোর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।