নয়াদিল্লি: তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে আগেই (Weather forecast)। এপ্রিলের শুরুতে তার ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করেছে। এ বার আরও উদ্বেগের খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর (IMD)। আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানাল তারা। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধিতে নাগরিকদের সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হল (Weather Updates)।


তাপমাত্রা বাড়তে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি, জানাল আবহাওয়া দফতর


শনিবার আবহাওয়া দফতরের তরফে তাপমাত্রাবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (Temperature Rise)। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ধাপে ধাপে তাপমাত্রা বাড়বে। তাপমাত্রা বাড়তে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি। দেশের অধিকাংশ এলাকায় এর প্রভাব পড়বে। দুঃসহ গরমে দায় হবে বাড়ির বাইরে পা রাখা।


এই তীব্র গরমের মধ্যেও মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তীসগঢ়ের মতো কিছু রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ এবং ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’দিনের সংশ্লিষ্ট রাজ্যে এমন পরিস্থিতি দেখা দেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার পর ধীরে ধীরে কমবে প্রকোপ।


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজস্থানের দক্ষিণ অংশে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আগামী দু'দিনে দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্ব অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির জেরে দেশের অন্য়ত্র আবহাওয়ায় তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 


আরও পড়ুন: National Education Policy : 'ক্লাস টু পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা নয়', জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামোর খসড়ায় মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে কী সুপারিশ ?


এর আগে, এপ্রিলে শুরুতেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে, উত্তর-পূর্বের কিছু এলাকা বাদ দিয়ে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহও দেখা দিতে পারে।


১৯০১ সালের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসই এখনও পর্যন্ত উষ্ণতম থেকেছে


অত্যধিক তাপমাত্রাবৃদ্ধি, তাপপ্রবাহের প্রকোপের জন্য় জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন আবহবিদরা। ১৯০১ সালের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসই এখনও পর্যন্ত উষ্ণতম থেকেছে।  পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে মার্চ মাস তুলনামূলক স্বস্তিতে কেটেছে। তবে বর্ষার আগে এই বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।