Imran Khan News: 'সারাদিন সেলে বন্দি রাখা হয়, কথা বলার অনুমতি নেই', বোনের সঙ্গে সাক্ষাতে মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ইমরানের
Asim Munir: পুরো সামরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পাকিস্তানের অন্যতম ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন মুনির।

রাওয়ালপিণ্ডি : 'ইমরান খান মৃত' বলে দিনকয়েক আগে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। উত্তাল হয়ে ওঠে পাকিস্তান। রাওয়ালপিণ্ডির সংশ্লিষ্ট জেলের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান ইমরান-অনুগামীরা। ইমরানের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর বোনরা। সেখান থেকেই মৃত্যু-জল্পনা ! অবশেষে চাপের মুখে এদিন ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয় তাঁর বোনকে। বোন উজমা খানুমের সঙ্গে ২০ মিনিট সাক্ষাৎ হয় ইমরানের। সেই সাক্ষাতের পর বেরিয়ে উজমা সাংবাদিকদের বলেন, "উনি ঠিক আছেন...কিন্তু উনি রেগে আছেন এই কারণে যে ওঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সারাদিন ওঁকে ওঁর সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে...অল্প কিছুক্ষণের জন্য বাইরে বেরোতে দেওয়া হয় এবং কারো সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই।" তিনি এও জানান, পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দায়ী করেছেন ইমরান। প্রসঙ্গত, পুরো সামরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পাকিস্তানের অন্যতম ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন মুনির।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে দিন কয়েক আগই সোশাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাওয়ালপিণ্ডির জেলের সামনে বসে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় ইমরানের বোনদের। সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন পুত্রও।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের অগাস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন। একাধিক মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদিও সেগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি দাবি করেছেন। তখন থেকেই রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা জেলে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ইমরানের পরিবার অভিযোগ করে, তাঁর সঙ্গে একমাসের বেশি সময় ধরে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, সুস্থ আছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে পরিবার। এই পরিস্থিতিতে, আজকের সাক্ষাৎ-পর্ব বাদ দিলে, পরিবার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কোনও সদস্যকে গত ২৫ দিন ধরে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ইমরানের সঙ্গে। সেখান থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, হয়তো জেলে মারা গেছেন তিনি। অনেকে দাবি করেন, জেল কর্তৃপক্ষ ভাল করেই বুঝতে পারছেন যে, সেরকম কিছু হলে ইমরানের লক্ষ লক্ষ্ অনুগামী জেলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়বেন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং তাঁর সরকারের উপরও চাপ বাড়তে থাকে। কারণ, তাঁরা ইমরানের বেঁচে থাকার প্রমাণ তখনও পর্যন্ত দেখাননি।























