ওয়াশিংটন: জি২০-তে ( G 20 ) ইউক্রেন যুদ্ধ ( Ukraine war )বিষয়ে কতটা আলোচনা হবে ? উঠে আসবে রাশিয়ান 9 Russia )  আগ্রাসনের প্রসঙ্গ ? ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে জি২০ গোষ্ঠীর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে আমেরিকা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে রাশিয়া এবং চিনের মতপার্থক্য এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয় যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ না করেই বৈঠকে ইতি টানতে হয়। এবার সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর  দাবি। 


শনিবার ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করল, ভারত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াকে আশ্বস্ত করে যে, নয়াদিল্লির সভাপতিত্বে G20-র বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি যাতে না ওঠে, তার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য  "যথেষ্ট চাপ" থাকবে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সংবাদপত্রের রিপোর্টে। 


ডোভাল - রাশিয়া বৈঠক                           


ফাঁস হওয়া এই নথিগুলিতে দেখা গিয়েছে , ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত কুমার ডোভাল এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা অধিকর্তা নিকোলাই পাত্রুশেভ  ২২ ফেব্রুয়ারি একটি  বৈঠক করেন। তাতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিষয়ে আলোচনা হয়। 


তার ঠিক কয়েকদিন পরেই জি২০ গোষ্ঠীর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া দীর্ঘ হয়। এমনই পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে, যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত জি২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের অধিকাংশই যৌথ বিবৃতিতে  ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু বিরোধিতা করে রাশিয়া ও চিন। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স গোপন সূত্রে জানতে পারে, ভারত নাকি অন্য দেশের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করে বিবৃতিতে যুদ্ধ কথাটির ব্যবহার এড়িয়ে যেতে। 


তার ঠিক আগের দিন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন থেকে নিঃশর্ত সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে যে প্রস্তাব উত্থাপন হয়েছিল, তাতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ভারত। 


ওয়াশিংটন পোস্টে দাবি, ডোভাল, জাতিসংঘের প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে রাশিয়াকে আশ্বস্ত করে, ভারত অতীতে যে নীতিগত অবস্থান নিয়েছিল তা থেকে বিচ্যুত হবে না। 


ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করেই সংবাদপত্রের দাবি, ভারত রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে না।  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুদ্ধবিরোধী বার্তাও দিয়েছিলেন। কিন্তু নয়াদিল্লি জাতিসংঘে মস্কোর সমর্থনের উপর নির্ভরশীল। সেইসঙ্গে তাদের সঙ্গে জ্বালানী ও অর্থনৈতিক চুক্তি বজায় রাখতে চায়।     


আরও পড়ুন :


ফলাহারের সাতকাহন, কখন ফল খাবেন? কীভাবে ফল খাবেন?